সুবিচার চাইলেন ড. ইউনূস

img

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ

প্রকাশিত :  ১২:১০, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ

ড. ইউনূসসহ চার আসামির বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার তৃতীয় শ্রম আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তী শুনানি জন্য আগামী সোমবার (১৬ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

আদালত প্রাঙ্গণে এ সময় ড. ইউনূস বলেন, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে দেওয়া হয়েছে। এখন সুবিচার চাই। আদালত প্রাঙ্গণে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, সব তথ্য প্রমাণ দিয়ে ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণ করতে পেরেছি। তার সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।  

ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, আইন অনুযায়ী বিচার হলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই যে, এই মামলায় ড. ইউনুসকে শাস্তি দিতে পারে। এর আগে ৯ নভেম্বর শ্রম আদালতে হাজির হন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান। ওই দিন আত্মপক্ষ সমর্থনের পর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আজ দিন ধার্য করেন শ্রম আদালত।  শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলায় এরই মধ্যে চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, ২৬ অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী এবং গত ২ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।

বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১১০৮

প্রকাশিত :  ১৬:৪০, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৪৪, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আটজন মারা গেছেন । এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৩ জনে।

এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে এক হাজার ১০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৮১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭৪, খুলনা বিভাগে ১২২ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০, রংপুর বিভাগে ১৮ এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত একদিনে সারাদেশে ১১৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২২৩ জনের। এছাড়া গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।