প্রকাশিত :  ১৪:০০, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০২, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, অর্ধশতাধিক নিহত

গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, অর্ধশতাধিক নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আল-ফাখুরা স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। স্কুলটি জাতিসঙ্ঘের ইউএনআরডব্লিউএ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আজ শনিবার ভোরে এই হামলা করা হয়।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরাইলের হামলা এ কথাই প্রমাণ করে যে ইসরাইল সমগ্র উত্তর গাজাসিটি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের বের করে দিতে চায়।

এদিকে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিমান থেকে লিফলেট ফেলেছে গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘হামাসের কার্যক্রমের কারণে এই অঞ্চলে (খান ইউনিসে) ইসরাইলি সেনাদের অভিযান চালাতে হবে। ফলে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ঘরবাড়ি থেকে দ্রুত আপনাদের সরে যেতে হবে। আপনারা পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিন।’

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বারবার জোর দিয়ে বলে আসছে, বেসামরিক জনগণকে জোরপূর্বক স্থানান্তর করা একটি যুদ্ধাপরাধ।

এদিকে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বোমা হামলায় প্রায় ১.৬ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি ইতোমধ্যে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অনেককে গাজা শহর থেকে দক্ষিণে মধ্য গাজা এবং খান ইউনিসে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।

ইউরো নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসই হামাসের সদর দফতর।’

এর আগে গত বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ গাজার বনি শুহাইলা, খুজা, আবাসান ও কারারা এলাকায় আকাশ থেকে লিফলেট ফেলেছে ইসরাইল। তাতে লেখা ছিল, ‘হামাসের কার্যক্রমের কারণে এই অঞ্চলের চারটি শহরে ইসরাইলি সেনাদের অভিযান চালাতে হবে। ফলে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ঘরবাড়ি থেকে দ্রুত আপনাদের সরে যেতে হবে। আপনারা পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিন।’

এই চার এলাকায় এক লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এছাড়া ইসরাইলের হুমকিতে উত্তর গাজা থেকে সরে আসা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিও সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত অক্টোবরের শেষের দিকে উত্তর গাজায় স্থল অভিযান শুরুর আগে সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল ইসরাইলি বাহিনী। জাতিসঙ্ঘের তথ্য, গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার দুই-তৃতীয়াংশই ভিটেমাটিছাড়া হয়েছেন।

সূত্র : আলজাজিরা





Leave Your Comments


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর