img

কমলগঞ্জে ইউএনও’র পরিচয়ে টাকা দাবি

প্রকাশিত :  ০৯:২৩, ২১ নভেম্বর ২০২৩

কমলগঞ্জে ইউএনও’র পরিচয়ে টাকা দাবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মিথ্যা পরিচয় দিয়ে একটি নম্বর (০১৮৬৪৮৫১৩৭০) থেকে ফোন করে বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে ফেইসবুক আইডি থেকে সতর্কবার্তা পোস্ট করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন।

জানা যায়, রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে শমশেরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান দিলদারকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে উপজেলার আইসক্রীম ফেক্টরী ও বেকারীদের নাম্বার সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য বলে ঐ প্রতারক চক্র। পরে তিনি নাম্বার সংগ্রহ করে দিলে প্রতারক চক্রটি ব্যবসায়ীদের ফোন দিয়ে টাকা আদায় করার চেষ্টা করে। বিষয়টি ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি ঐ প্রতারক চক্রদের সাথে কথা বলা অবস্থায় ফোন কেটে দেয় এবং সাথে সাথে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন।

ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান দিলদার বলেন, আমার কাছে কমলগঞ্জ ইউএনও’র পরিচয়ে ফোন আসে এভাবে কয়েকজনের নাম্বার দেওয়ার জন্য, আমি দিয়েছি সংগ্রহ করে। পরে বিষয়টি ঘোলাটে মনে হলে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করি।

শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ জানান, আমার কাছে ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান দিলদার এসে বলেন একটি নাম্বার থেকে কল করে ইউএনও পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নাম্বার সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য। বিষয়টি আমার কাছে প্রতারক চক্র মনে হল। সাথে সাথে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়া কেউ যদি আমার নাম বা যেকোন নম্বর থেকে এমন বিভ্রান্তিকর ফোন পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরকে বলব তারা যেন আমাকে জানান। অর্থ আদায়ের বিষয়টি “উপজেলা প্রশাসন কমলগঞ্জ” আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ করেছি এর সাথে সবাই একটু সচেতন থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

img

সুনামগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১১, আহত অর্ধশত

প্রকাশিত :  ১৫:০২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৪২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় নানাভাবে আহত হয়েছেন ৩০ জন। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধরা হলেন:  মুহিবুর রহমান চৌধুরী (২৫), আঞ্জু চৌধুরী (২৩), সোহেল চৌধুরী (২৫), জুয়েল চৌধুরী (৪০), আকমল চৌধুরী (৬২), কনর চৌধুরী (৫৫), শুভ চৌধুরী (২৭), ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী (৬৫), জাবেদ চৌধুরী (২৫), তাসিম চৌধুরী (২৮), রাবেল চৌধুরী (২৭), জুবেদ চৌধুরী (৩২) ও মুর্শেদ চৌধুরীকে (৪২) সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়, রাড়ইল গ্রামে আনু মিয়া চৌধুরী ও নানু মিয়া চৌধুরীর সঙ্গে একই গ্রামের জসীম উদ্দিন চৌধুরী ও সুমন চৌধুরীর লোকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা মোকদ্দমা।

মঙ্গলবার সকালে আনু চৌধুরীর দায়ের করা একটি মামলায় তদন্তে যায় দিরাই থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ করে পুলিশ গ্রাম থেকে ফেরার পর উভয়পক্ষের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রশান্ত সাগর দাস গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ডা. প্রশান্ত সাগর দাস বলেন, আহতদের শরীরে ছড়রা গুলি দেখা গেছে, যা মেডিকেল রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বললেন, আমি শুনেছি সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে গ্রামে অভিযান চলছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।



সিলেটের খবর এর আরও খবর