img

ওষুধ ও রসায়ন খাতে মুনাফা বেড়েছে ১৯ কোম্পানির, কমেছে ৪ টির

প্রকাশিত :  ০৯:৪২, ২১ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫১, ২১ নভেম্বর ২০২৩

ওষুধ ও রসায়ন খাতে মুনাফা বেড়েছে ১৯ কোম্পানির, কমেছে ৪ টির

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৮টি কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- কোহিনুর কেমিক্যাল, ইবনে সিনা ফার্মা,এসিআই ফরমুলেশন, একমি ল্যাবরেটরিজ, এমবি ফার্মা, সালভো কেমিক্যাল, নাভানা ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, জেএমআই হসাপিটাল, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইমাম বাটন, ওয়াটা কেমিক্যালস, ফার কেমিক্যাল এবং ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।


কোহিনুর কেমিক্যাল

প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে৩ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা৯৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে৩০ পয়সা

ইবনে সিনা ফার্মা

প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৬৩ পয়সা (রিস্টেটেড)।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১০১ টাকা ৯০ পয়সা।

এসিআই ফরমুলেশন

প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে১ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল১ টাকা ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৯ পয়সা

একমি ল্যাবরেটরিজ

প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১৮ পয়সা

এমবি ফার্মা

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৩৫ পয়সা

সালভো কেমিক্যাল

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১১ পয়সা

নাভানা ফার্মা

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে১ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২০ পয়সা

স্কয়ার ফার্মা

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৭৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৫৭ পয়সা

বিকন ফার্মা

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৬১ পয়সা

জেএমআই হসাপিটাল

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেকোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১ পয়সা

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২৪ পয়সা

ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৭ টাকা ১১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা ৮৫ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৬ টাকা ২৬ পয়সা

ওরিয়ন ইনফিউশন

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৩ পয়সা

ইমাম বাটন

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৮২ পয়সা

ফার্মা এইডস

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল১ টাকা ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে এক টাকা ৬৯ পয়সা

ওয়াটা কেমিক্যালস

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৭ পয়সা

ফার কেমিক্যাল

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩)কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৮পয়সা।

ওরিয়ন ফার্মা

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে(জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪পয়সা।

রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৭ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৯ টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৭ টাকা ৬৯ পয়সা। 


মুনাফা কমেছে ৪ কোম্পানির 

প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের৪ কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- জেএমআই সিরিঞ্জ, রেনাটা লিমিটেড, ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অ্যাডভেন্ট ফার্মা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জেএমআই সিরিঞ্জ

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেকোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৫ পয়সা।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা।

রেনাটা লিমিটেড

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১০ টাকা ৮৬ পয়সা।

ইন্দোবাংলা ফার্মা

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৭ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ২ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৯৬ পয়সা।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪১ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৪৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৪৭ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৩৭ পয়সা।

img

৬০ টাকা কেজি দরে ভারত থেকে এলো ৫৯৩ টন কাঁচা মরিচ

প্রকাশিত :  ১৬:৪৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর  দিয়ে গত দুই দিনে ভারত থেকে ৫৯৩ টন কাঁচা মরিচের বিশাল চালান এসেছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভারত থেকে এসেছে ১০ টন ৯৫৬ কেজি কাঁচামরিচ। গতকাল সোমবার এসেছে ৫৮১ টন ৯৭০ কেজি। 

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে কাঁচা মরিচের দাম আকাশ ছোঁয়া। তাই চাহিদা অনুযায়ী যোগান ঠিক রাখার জন্য বাজারে ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই আমদানি করা হচ্ছে। ভারতে দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর বন্ধ ছিল ৫ দিন। গতকাল বন্দর সচল হওয়ায় একদিনেই ভারত থেকে ৫০টি ট্রাকে এসেছে। যাতে প্রায় ৫৮২ টন কাঁচা মরিচ ছিল। ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্যটির চালান খালাস করে নিয়ে গেছেন আমদানিকারকরা।

বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, দেশের ২৮ জন আমদানিকারক সোমবার প্রায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করেন। প্রতি টনের আমদানি মূল্য ৬০ হাজার টাকা। আমদানি শুল্ক প্রায় ৩৬ হাজার টাকা হিসাবে প্রতি কেজির আমদানি মূল্য ৬০ টাকা এবং শুল্ক ৩৬ টাকা।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময়ে এক ট্রাকে ১০ টন ৯৫৬ কেজি কাঁচা মরিচ বন্দরে প্রবেশ করেছে। এর আগে গতকাল সোমবার ৫০ ট্রাকে ৫৮১ টন ৯৭০ কেজি মরিচ আমদানি হয়। যা শুল্ক করাদি পরিশোধ করে আগেই মরিচ বোঝাই ট্রাক বন্দর এলাকা ত্যাগ করেছে।


অর্থনীতি এর আরও খবর