img

কলম্বিয়া রোডে নতুন ইয়ুথ সেন্টার চালু করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

প্রকাশিত :  ২১:৫৯, ২১ নভেম্বর ২০২৩

কলম্বিয়া রোডে নতুন ইয়ুথ সেন্টার চালু করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

টাওয়ার হামলেটস (লন্ডন): ইয়াং টাওয়ার হ্যামলেটস নামে পরিচিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ইয়ুথ সার্ভিস ৯ নভেম্বর কলম্বিয়া রোড ইয়ুথ সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে। তরুণ যুব বয়সীদের কাজের গুরুত্বকে উদযাপন করতে ন্যাশনাল ইয়ুথ ওয়ার্ক উইক উপলক্ষে এই সেন্টারটির দরোজা খুলে দেয়া হয়।
উদ্বোধনী দিনে তরুণদেরকে দিওয়ালি আর্টস সেশন, কেক সাজানো, গ্রাফিতি শোকেস, পিএসফাইভ সায়েন্স গেম এবং পডকাস্টিং সহ বিনামূল্যের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে জড়িত হতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এ সময় আমাদের ২০২৩ সালের ইয়াং মেয়র প্রার্থীরা ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন।
কাউন্সিল ১৩.৭ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল দিয়ে পুনঃব্র্যান্ড এবং সম্প্রসারণ বিনিয়োগের অংশ হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে কিশোর—তরুণ বয়সীদের জন্য একটি ‘নিরাপদ স্থান’ গড়ে তোলা হবে।
এই বছরের থিম হল ‘প্রতিটি জায়গায় একটি নিরাপদ স্থান’, যা বারা জুড়ে সকল তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান দেওয়ার জন্য কাউন্সিলের প্রতিশ্রুতির সাথে যুক্ত।
এই সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইয়ুম তালুকদারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তরুণদের সাথে নানা কর্মকান্ডে যুক্ত হন, কিছু তরুণ মেয়র প্রার্থীর সাথে কথা বলেন এবং এটি সম্ভব করার জন্য তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য তরুণ ও যুব কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।


এসময় ২০২৩ সালের বর্তমান ইয়াং মেয়র, ডেপুটি এবং নতুন প্রার্থীদের কাছ থেকে তরুণরাও আগামী ৪ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ইয়াং মেয়র নির্বাচন এবং ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে শুনেন।
যুব কর্ম সপ্তাহের বাকি সময় জুড়ে, তরুণরা বারার যুব কেন্দ্র এবং অংশীদারদের দ্বারা প্রদত্ত বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ এবং সেশনের সাথে জড়িত ছিল।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “কলাম্বিয়া রোড যুব কেন্দ্রের উদ্বোধন আমাদের প্রতিটি তরুণ যুবাদের জন্য তাদের জীবনের সম্ভাবনা উন্নত করার জন্য চমৎকার সুযোগ এবং নিরাপদ স্থান প্রদানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।


তিনি বলেন, “ইয়ুথ সার্ভিসের একজন উপকারভোগী হিসাবে, আমি নিশ্চিতভাবে ইয়ুথ ওয়ার্কার (যুব কর্মীদের) মূল্য বুঝতে পারি কারণ তারা আমার কিশোর বয়সে আমাকে গাইড করেছিল, সাহায্য করেছিল এবং সমর্থন করেছিল। আমরা তরুণদের জন্য বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইয়ং টাওয়ার হ্যামলেটস, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে স্কুলের খাবার, এবং শিক্ষা রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্সারিগুলি পুনঃপ্রবর্তনের জন্য ১৯ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থায়ন করেছি।”
টাওয়ার হ্যামলেটসের ডেপুটি মেয়র এবং শিক্ষা, যুব এবং আজীবন শিক্ষা বিষয়ক কেবিনেট সদস্য, কাউন্সিলর মাইয়ুম তালুকদার যোগ করেছেন: “কলাম্বিয়া রোড ইয়ুথ সেন্টারের লঞ্চে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান দেওয়ার জন্য একটি কাউন্সিল হিসাবে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছি।”

কমিউনিটি এর আরও খবর

সকল মহলের সহযোগিতা কামনা

img

বাংলাদেশ সেন্টারের গ্রীন প্যানেল গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন : সেন্টার রক্ষা ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ চালুর স্বার্থে বিনা শর্তে যে কোন আপোষ-মীমাংসায় সম্মতি

প্রকাশিত :  ০৬:১৩, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লণ্ডনের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ সেন্টার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অনন্য স্মারক, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম হাই কমিশন ।বাংলাদেশ সেন্টার এক সময় সভার হল ,বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান ,নামাজের জন্য হল ও স্টুডেন্ট হোস্টেল ছিল । জমজমাট ছিল এ সেন্টার ।

জরাজীর্ন সেন্টারের ভবনে সংস্কার কাজ করার ফলে নতুন ভবনের অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে । কিন্তু  এ ঐতিহাসিক সেন্টারটি এখন নেতৃত্বের কোন্দলে সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে । বিগত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি কমিটি রয়েছে ।প্রতিটি গ্রুপই নিজকে বৈধ বলে দাবী করে আসছে ।কিন্তু চ্যারিটি কমিশন নাকি উভয় গ্রুপকে অবৈধ বলেছে ।বিগত দিনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন  হয়েছে ।বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে ।

পদাধিকার বলে মাননীয় হাইকমিশনার সভাপতি হয়ে অনেক চেষ্টা করেও বিরোধ মীমাংসা করতে পারেন নি। কমিউনিটির মুরুব্বীরা সালিশের চেষ্টা করেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন নি।কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে ।গতকাল গ্রীন প্যানেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টারটিকে রক্ষা করার জন্য সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব‍্য রাখেন এ কে এম শহীদুর রহমান । সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় যে- এই সংকট নিরসনের জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত সকল উদ্যোগই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তাই এই অচলাবস্থা সৃষ্টিকারীদের অপকৌশল বন্ধ করতে হবে। সেন্টারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নিরপত্তা বিধান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সেন্টারের ব্যাংক একাউন্ট ও ফান্ড এর অনুনোমোদিত ব্যবহার সম্পর্কে সকল ক্যাটাগরির সদস্যদেরকে অবহিত করাই এই সংবাদ সম্মেলনের  উদ্দেশ্য।

সভায় বক্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে কমিউনিটির  স্বার্থ ও সেবা গ্রহণকারীদের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিয়ে এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সবাইকে এক সাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিতে বৃটেনে নব-নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পদাধিকার বলে বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারপার্সন মান্যবর আবিদা ইসলাম মহোদয়কে এই সভা থেকে অনুরোধ জানানো হয়। এবং মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

সংকট সমাধানে উপায় হিসেবে দুটি প্রস্তাব করা হয়: 

১. সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ৪২ ধারা অনুযায়ী নোটিশ প্রদান এবং ৪৪ ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী কমিটি, উপ-কমিটিসমূহ গঠন। 

২. এজিএম ডেকে নির্বাচিত কমিটির হাতে সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব অর্পণ। 

সভায় সভাপতিত্ব করবেন সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মহিবুর রহমান মুহিব, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুর রহমান, সহ-সভাপতি জনাব ইছবাহ উদ্দিন, সহ-সভাপতি, জনাব হাবিবুর রহমান ময়না, চিফ-ট্রেজারার জনাব মোহাম্মদ ফাইজুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক জনাব শামীম আহমেদ ও যুগ্ম-ট্রেজারার জনাব নসিম আহমেদ।

কমিউনিটি এর আরও খবর