img

দেশের বর্তমান রিজার্ভ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত :  ১১:১২, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

দেশের বর্তমান রিজার্ভ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার

দেশে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

তিনি জানিয়েছেন, চাহিদা ও যোগান মিলিয়ে বর্তমানে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি শক্তিশালী করতে যে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলো ইতিবাচক দিকে যাওয়া শুরু করেছে। আর্থিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরু, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।

সে সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সময় সংবাদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছিলেন, গত দুই মাসের আকু পেমেন্ট পরিশোধের পর দেশের গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিলের অর্থ ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আকু পেমেন্ট করা হয়েছে ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।

তবে এখনও দেশের রিজার্ভে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো নিয়ে শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

img

ডিএসইতে মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ০৬:২৭, ১৫ মার্চ ২০২৫

দেশের শেয়ারবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে (০৯ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ) শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা, যা প্রায় ১ শতাংশের মতো। এই সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান হলেও, বাজার মূলধনে এই পতন লক্ষ্য করা গেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যেখানে আগের সপ্তাহে এই মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহ ব্যবধানে ০.৯৬ শতাংশ কমেছে শেয়ারবাজার মূলধন।

এদিকে, শেয়ারবাজারের মূল সূচকগুলোতে উত্থান দেখা গেছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১.৬৫ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ, আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১১.৮৮ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ। তাছাড়া, ডিএসইএস সূচকও বেড়েছে ৪.৩৯ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ।

লেনদেনের পরিমাণেও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সপ্তাহে মোট লেনদেন বেড়েছে ১৪১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর ফলে, প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ৭.৭৮ শতাংশ।

ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৮৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে এবং ৩৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এই পরিসংখ্যান দেখায়, যদিও শেয়ারবাজার মূলধন কমেছে, তবে সূচকের উত্থান এবং লেনদেনের পরিমাণের বৃদ্ধি বাজারের একটি ইতিবাচক দিক। তবে, শেয়ারবাজারের মূলধন কমে যাওয়ার পেছনে কোন কারণ রয়েছে, তা নিয়ে আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

এটা স্পষ্ট যে, শেয়ারবাজারে একদিকে সূচকের উত্থান হলেও, অন্যদিকে বাজার মূলধনের পতন এবং শেয়ারগুলির দাম কমে যাওয়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও সতর্কভাবে লেনদেন করছেন।