img

বিএনপি নেতা জয়নুল, নিতাই ও খোকনের জামিন

প্রকাশিত :  ১১:৪৫, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি নেতা জয়নুল, নিতাই ও খোকনের জামিন

মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এবং যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ২০ হাজার টাকা মুচলেখায় ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে এ সংক্রান্ত আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের আগাম তিন সাপ্তাহের জামিন দেন। একই সঙ্গে তিন সপ্তাহ শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বাসে ভাঙচুরের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোফিজুর রহমান একটি মামলা করেন। রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন সিদ্বেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সহিদুল ওসমান মাসুম।

মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো এবং কাকরাইলে বিচারপতিদের বাসভবন জাজেস কমপ্লেক্সের ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসভবনের নামফলকসহ বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন স্থানে। 

এছাড়া ভবনের সামনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, যা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।

img

শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ : দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ৫

প্রকাশিত :  ০৭:৫৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) ও বরকত উল্লাহ (২৩) নামে আরও দুইজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মারা গেলেন পাঁচজন।

আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।

জাহাঙ্গীর পিরোজপুর জেলার কাউখালীর আবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে। অপরদিকে বরকতুল্লাহ চট্টগ্রামের পটিয়া থানার মো. আইয়ুব আলীর ছেলে। তারা দুজনেই ওই শিপ ইয়ার্ড এলাকাতেই থাকতেন।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোরের দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও বরকতউল্লাহ মারা যায়। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই নিয়ে আমাদের হাসপাতালে সাতজনের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে  আবুল কাশেম (৩৯),  আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও আল-আমিন (২৩)‌ নামে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ির তেঁতুলতলা এলাকার একটি শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে ১০/১২ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় আটজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হলে পথিমধ্যেই ৯০% দগ্ধ নিয়ে আহমাদুল্লাহ মারা যান। পরে গত রোববার

খাইরুল (৮০ শতাংশ দগ্ধ) এবং সোমবার হাবিব (৪৫ শতাংশ দগ্ধ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।