img

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কেন

প্রকাশিত :  ০৮:৪৩, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৪২, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কেন

ঘুমের সবচেয়ে উপযোগী সময় নির্ধারণ করা হয় রাতকে। কেননা সারা দিন কর্মব্যস্ততার পর মানুষের একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তাই আল্লাহ তা'আলা রাতকে বিশ্রামের উপযোগী করেই বানিয়েছেন।

মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ, আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ৯-১১)

তবে আজ গোটা পৃথিবীতে এর উল্টো স্রোত শুরু হয়েছে। এর ক্ষতিকর দিকগুলো সবার সামনে স্পষ্ট। এটি আধুনিক সময়ের একটি অভিশাপরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।

অনেকেই অহেতুক গল্পগুজব, সমালোচনা, পরনিন্দা বা অনৈতিক কথাবার্তায় লিপ্ত থাকে। সমাজের বেশির ভাগ মানুষ, বিশেষভাবে যুবকশ্রেণি এতে জড়িত। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে অযথা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, দলবেঁধে পার্টিতে যাওয়া এবং গভীর রাত পর্যন্ত এতে লিপ্ত থাকা। যারা বাইরে যায় না, তারা ঘরে বসে ইন্টারনেটে সারা দুনিয়া চষে বেড়ায়।

অনলাইনে ছেলে-মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট ও আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। কেউ বা সিনেমা ও বিভিন্ন ভিডিও ডাউনলোড করে দেখছে। কারো টিভির পর্দায় চোখ, কারো বা এফএম রেডিওর সঙ্গে কান লেগে আছে। কেউ ঘুম ফেলে গেম খেলায় মগ্ন। এ হচ্ছে তরুণসমাজের ভয়াবহ চিত্র।

কিন্তু শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। দেহের সুষ্ঠু কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সকাল সকাল যেমন ঘুম থেকে উঠা উচিত, তেমনি রাতেও জলদি ঘুমানো দরকার। 

আসুন জেনে নেই রাতে জলদি ঘুমানোর উপকারিতা...

> রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ফলে আপনার মন শান্ত থাকে। ফলে দুশ্চিন্তা কম হয়।

> ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেসবুকিং বা ফোন চালালে ব্রেনের নার্ভ সিস্টেমে চাপ পরে।

> ভালো ঘুম আপনার মেজাজ ভাল রেখে জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।

> রাতের ৮ ঘন্টা ঘুম আপনার মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।.

> নিয়মিত রাতের ঘুম শরীরের ওজন কমায়।

> রাতে দেরি করে ঘুমাবেন না, এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

> মুখের লাবণ্যতা ধরে রাখতে রাতে জলদি ঘুমিয়ে পরুন।

> হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, কিডনি, উচ্চরক্তচাপ এর মত নানা রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে জলদি ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

> আপনি যদি রাতে ১২টার মধ্যে ঘুমাতে পারেন তাহলে দেখবেন দিনভর আপনি ক্লান্তি, ঝিমানো, দুর্বলতা অনুভব করছেন না।

> পূর্ণ ঘুম আমাদের মানসিক প্রশান্তি দান করে আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে।

> অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে হজম শক্তি কমে যায়।

নিজেকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে রাতে ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে পরুন এবং সকালে জলদি ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন।

img

ঘরের সাজে পূজার আমেজ

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গতিনাশিনীর আগমনে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ধুয়ে-মুছে সাফসুতরো হয়ে ঘরও সেজে উঠুক। প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। ফুল, লতাপাতা, গাছের ডাল, ছোট-বড় ইনডোর প্লান্ট ভিন্নতা যোগ করবে। এ ছাড়া ঘরে থাকা নানা অনুষঙ্গও ব্যবহার করুন।

নান্দনিক হয়ে উঠবে ঘর। তবে গৃহসজ্জার আগে ঘরের রং, আলো, আকার ভাবনায় রেখে ইন্টেরিয়র পরিকল্পনা করতে হবে।

ঘরের আকার

প্রথমেই নজর দিতে হবে ঘরের পরিধির দিকে। পরিকল্পনা করতে হবে সে অনুযায়ী।

দেয়ালের রং, প্রাকৃতিক আলোর প্রবেশ গৃহসজ্জায় বেশ জরুরি। ঘর ছোট হলে সাজসজ্জা বেশি ভারী বা জটিল না করাই ভালো। উজ্জ্বল রং ও হালকা সাজের মাধ্যমে সাজালে ছোট ঘর বড় দেখাবে। দেয়ালে গাঢ় রং ব্যবহার করলে বেশি আলো প্রয়োজন হয়।

সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ রং বেছে নিন। ঘরের পরিবেশ প্রাণবন্ত লাগবে। দিনে প্রাকৃতিক আলোর আনাগোনার সঙ্গে মৃদু আলো ও ক্যান্ডেললাইট ব্যবহার করুন। এতে বিশেষ আবহ তৈরি হবে। রাতে অবশ্যই উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করুন।

ফুল-পাতায় সজ্জা

বসার ঘরের টিপয়ের ওপর, কোনায় রাখা টুলের ওপর কাঁসা-পিতলের থালায় কলাপাতা পেতে তাতে শিউলি, জবা, অলকানন্দা, কাঠগোলাপ কিংবা জুঁই রেখে দিন। ফুলের সুবাস বলে দেবে দিনগুলো বিশেষ। ফুলদানিতে লম্বা ধরনের কোনো পাতার সমন্বয়ে সাজাতে পারেন রজনীগন্ধা, গোলাপ, লিলি, জারবেরা, অর্কিড। সন্ধ্যার আবহে একটা মাটির পাত্রে পানি ঢেলে গাঁদা ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। তার ওপর বসিয়ে দিন ভাসমান মোম বা মাটির প্রদীপ। গৃহে উত্সবমুখর পরিবেশ ফুটে উঠবে।

শোলার ফুল পাখি

বিভিন্ন রঙের শোলার তৈরি ফুল পাখি বা মালা ঝুলিয়ে দিন মূল দরজাসহ অন্যান্য দরজায়। বাসায় আসা অতিথিদের নজর কাড়বে। মূল দরজার পাশে পোড়ামাটির প্রদীপের মতো শোলার কাস্তা তৈরি করে তাতে মোমবাতি বা প্রদীপ রাখুন। সুন্দর আলো ছড়াবে।  

আলপনা বা রঙ্গোলি

দরজার সামনের মেঝেতে আলপনা কিংবা রংবেরঙের রঙ্গোলি তৈরি করতে পারেন। এর ফাঁকে ফাঁকে বসাতে পারেন মাটির প্রদীপ। ঘরে আলো-আঁধারীর শৈল্পিক আবহ যোগ হবে।

ইনডোর প্লান্ট ও লতাপাতা

স্কাইডার প্লান্ট, পোটাসসহ অনেক ইনডোর প্লান্ট কম আলোতেও বেড়ে উঠতে পারে। এই ইনডোর প্লান্টগুলো ঘরে ঠাঁই দিতে পারেন। পিস লিলির মতো প্লান্ট ঘরে শান্তি ও সৌন্দর্য এনে দেবে। লতাপাতা ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ ঘরের কোণে সুন্দর দেখাবে। ভাইনস দিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হবে। বড় গাছের পাতা বা গাছ ব্যবহার করে একটি জঙ্গল বা সবুজ বন তৈরি করতে পারেন। কাঠের তৈরি কিছু ডিজাইন বা মূর্তি ব্যাক ড্রপে যুক্ত করলে ঐতিহ্যবাহী ভাব ফুটে উঠবে।

পরিবার ও ব্যক্তিত্ব

পরিবারের সবার পছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ঘর সাজানো উচিত। এতে সবার মাঝে পারিবারিক ঐক্য বাড়বে। যে ঘরে যিনি থাকেন তাঁর স্টাইল ও পছন্দের উপাদান ব্যবহার করুন। পরিবারের পুরনো সামগ্রী বা শিল্পকর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—দিদিমার বানানো হাতের কাজ বা ঠাকুরমার আঁকা পুরনো ছবি। পূজার অন্দরসজ্জায় ব্যক্তিগত পছন্দ ও পরিবারের ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিন।