img

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, পদ ২৫৪

প্রকাশিত :  ০৯:২৮, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:২৯, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, পদ ২৫৪

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচিতে একাধিক পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ দুই কর্মসূচিতে ২৫ ক্যাটাগরির পদে ২৫৪ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

এর আগে চলতি সপ্তাহেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) অপারেশনাল প্ল্যানের অধীন সারা দেশে ২৯টি পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও এনএমইপিতে ৬ ক্যাটাগরিতে ১৫৫ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে যেসব পদে নিয়োগ, পদসংখ্যা ও সাকল্যে বেতন

১. পদের নাম: সফটওয়্যার ডেভেলপার

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,৫০,০০০ টাকা

২. পদের নাম: টিবি ল্যাব অ্যান্ড ইনফেকশন কন্ট্রোল এক্সাপার্ট

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,২৭,৫৭৮ টাকা

৩. পদের নাম: লজিস্টিকস অ্যান্ড ডাটা ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,২৩,৫৭৩ টাকা

৪. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, ফিন্যান্স

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,৬৮,৫২৫ টাকা

৫. পদের নাম: ডিভিশনাল টিবি এক্সপার্ট

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,২৭,৫৭৮ টাকা

৬. পদের নাম: মাইক্রোবায়োলজিস্ট

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,১৫,৯৬৩ টাকা

৭. পদের নাম: সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার (এসএমও)-টিবি

পদসংখ্য: ৩

বেতন: ৭০,০০০ টাকা

৮. পদের নাম: ফিন্যান্স অফিসার

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,০৭,৩৪৫ টাকা

৯. পদের নাম: প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (পিএসএম) অফিসার

পদসংখ্য: ২

বেতন: ৫৫,০০০ টাকা

১০. পদের নাম: এমআইএস অফিসার

পদসংখ্য: ৮

বেতন: ৪০,০০০ টাকা

১১. পদের নাম: সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড লজিস্টিকস অফিসার

পদসংখ্য: ১

বেতন: ৪০,০০০ টাকা

১২. পদের নাম: প্রোগ্রাম অর্গানাইজার

পদসংখ্য: ২

বেতন: ২৫,০০০ টাকা

১৩. পদের নাম: মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব)

পদসংখ্য: ১৮৮

বেতন: ২৫,০০০ টাকা

১৪. পদের নাম: মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওলজি)

পদসংখ্য: ২৫

বেতন: ২৫,০০০ টাকা

১৫. পদের নাম: ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট/অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্য: ২

বেতন: ১৮,০০০ টাকা

১৬. পদের নাম: ড্রাইভার

পদসংখ্য: ৪

বেতন: ১৮,০০০ টাকা

১৭. পদের নাম: ক্লিনার

পদসংখ্য: ২

বেতন: ১৮,০০০ টাকা

জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে যেসব পদে নিয়োগ, পদসংখ্যা ও সাকল্যে বেতন

১৮. পদের নাম: কাউন্সেলর

পদসংখ্য: ২

বেতন: ২৬,২৫১ টাকা

১৯. পদের নাম: অ্যাকাউন্ট্যান্ট

পদসংখ্য: ১

বেতন: ৩০,০০০ টাকা

২০. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (প্রিজন ইন্টারভেনশন)

পদসংখ্য: ১

বেতন: ৭৫,৬০০ টাকা

২১. পদের নাম: মেডিকেল টেকনোলজিস্ট—ল্যাব (প্রিজন ইন্টারভেনশন)

পদসংখ্য: ২

বেতন: ২৫,০০০ টাকা

২২. পদের নাম: মেডিকেল অফিসার

পদসংখ্য: ১

বেতন: ৬০,০০০ টাকা

২৩. পদের নাম: পিএসএম স্পেশালিস্ট

পদসংখ্য: ১

বেতন: ২,০০,০০০ টাকা

২৪. পদের নাম: ম্যানেজার-ফিন্যান্স

পদসংখ্য: ১

বেতন: ১,২০,০০০ টাকা

২৫. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার-অ্যাডমিন অ্যান্ড এইচআর

পদসংখ্য: ১

বেতন: ৭৫,৬০০ টাকা

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে http://ntp.teletalk.com.bd ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। যোগ্যতা, শর্তাবলিসহ নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক http://ntp.teletalk.com.bd/docs/NTP.pdf থেকে জেনে নিতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা alljobs.query@teletalk.com.bd ও nasierdr@gmail.com ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া টেলিটকের জবপোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। মেইল/মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৬ এবং ৮, ২৩ ও ২৪ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা; ৭, ২০ ও ২৫ নম্বর পদের জন্য ৮০ টাকা; ৯, ১০, ১১ ও ২২ নম্বর পদের জন্য ৭০ টাকা এবং ১২ থেকে ১৯ ও ২১ নম্বর পদের জন্য ৬০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

img

অর্থ পাচারে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি শুকিয়ে ফেলা হয়েছে

প্রকাশিত :  ০৫:০৮, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩০, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের হিসাবে, শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে কেবল বাংলাদেশের আর্থিক খাত থেকেই ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। তবে অন্য অর্থনীতিবিদের হিসাবে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি হতে পারে।

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া টাকার প্রকৃত পরিমাণ কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। বিভিন্ন ধরনের আর্থিক হিসাব-নিকাশ করে আহসান মনসুর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সহযোগীরা বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে যে পরিমাণ অর্থ লুট করেছে, তা কার্যত পৃথিবীর আর্থিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

মার্কিন এই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে গত অক্টোবরে। আর চলতি সপ্তাহে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি বলেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে সার্বিকভাবে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে।

আহসান মনসুর নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছিল, লুটপাট করার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে ব্যাংক। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো শত শত কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিভিন্ন কোম্পানির নামে ঋণ দিয়েছে, যে কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোর আদতে কোনো অস্তিত্বই নেই। এই টাকাও কখনো সম্ভবত ব্যাংকে ফিরে আসবে না; এই অর্থের একটি বড় অংশ দেশ থেকে অবৈধভাবে বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার আগে ২৭ বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) কাজ করেছেন আহসান মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংকের পুরো পরিচালনা পর্ষদ হাইজ্যাক করা হয়েছিল। তার ভাষ্য, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এভাবে গুন্ডা-মাস্তানদের সহযোগিতায় পুরো ব্যাংক খাতে এমন পদ্ধতিগতভাবে ডাকাতি করেছে, এমন ঘটনা তিনি আর কোথাও দেখেননি।

সংবাদে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এখনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পালা চলছে, গণসহিংসতাও দেখা যাচ্ছে।

অর্থনীতি প্রসঙ্গে আহসান মনসুর বলেন, আগামী বছর অর্থনীতির আকাশে আরও কালো মেঘের ঘনঘটা থাকবে। এরপর অর্থনীতির আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে।

শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গেছেন। তার ভাগ্যে কী আছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, তাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্বাহী পরিচালক এ কে এম এহসান। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।

সম্প্রতি আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ‘উইচ হান্ট’ করা হচ্ছে, তিনি এর বাইরে নন।

নিউইয়র্ক টাইমস শেখ হাসিনা ও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় খালি পড়ে আছে। এরপর তারা শেখ হাসিনার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হয়নি।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের পদত্যাগের ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছে নিউইয়র্ক টাইমস। সংবাদে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি আর দশটা সাধারণ দিনের মতো আব্দুল মান্নান কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে তিনি একটি ফোন কল পান। কলটি করেছিলেন সামরিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান। তাকে বলা হয়, গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি যেন সংস্থাটির সদর দপ্তরে চলে আসেন।

গত অক্টোবর মাসে আব্দুল মান্নান নিউইয়র্ক টাইমসকে সেই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। কার্যালয়ে যাওয়ার পর সামরিক গোয়েন্দারা আব্দুল মান্নানের ফোন, ঘড়ি ও ওয়ালেট রেখে দেন। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আব্দুল মান্নানের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বিবরণ দেন; বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে তিনি যে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন, সে জন্য তার প্রশংসা করেন।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান ভেবেছিলেন, তার সময়টা বোধ হয় বৃথা যাচ্ছে। কিন্তু এরপরই তাকে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের চিঠিতে সই করতে বলা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তাকে বলেন, এই আদেশ দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে এসেছে, অর্থাৎ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি প্রথমে পদত্যাগপত্রে সই করতে রাজি হননি।

তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে মৌখিকভাবে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। এরপর তাকে গোয়েন্দা প্রধানের কার্যালয় থেকে আরেকটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি যে ধরনের মানুষ, তাতে ওই সময়ে আমাকে যে অপমানজনক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হয়েছিল, তার বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।’

এরপর তিনি সময়ের হিসাব ভুলে যান এবং একপর্যায়ে জানতে পারেন, দুপুরের আগে আগে তিনি পদত্যাগ পত্রে সই করেছেন। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী আট বছর তিনি কার্যত নির্বাসনে ছিলেন; এখন তিনি আবার একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন।

আব্দুল মান্নান ও আহসান মনসুর একই সুরে বলেন, ওই ঘটনার পর এস আলম গোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ কবজা করে। এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলম ট্রেডার হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বিশেষ করে শেখ হাসিনার আমলে জ্বালানি, আবাসন খাতসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, এস আলম গোষ্ঠী অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত খালি করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল।

হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক এ কে এম এহসান। ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক এস আলম গোষ্ঠীর হাতে যাওয়ার পর নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যে ঋণের বড় অংশ আর ফেরত আসেনি। ফলে সেগুলো খেলাপি হয়ে গেছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। এমনকি যেসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারাও সেভাবে ঋণ দিতে পারছে না, এমনকি আমানতকারীদের টাকা সব সময় ফেরত দিতে পারছে না। আমানতকারীদের তারা মাঝেমধ্যে টাকা তোলার সুযোগ দিচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে যে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শেখ হাসিনার দলের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে, যে অর্থ মূলত আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে যে কেবল কিছু মানুষের পকেট ভারী হয়েছে তা নয়, এতে বাংলাদেশের মুদ্রার দরপতনও হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে এই অর্থ পাচারের গতি বাড়তে থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের মুদ্রার বড় ধরনের দরপতন হয়। আমদানি মূল্য অনেকটা বেড়ে যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের লোডশেডিংয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।

অনেক ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকট আছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা পুরো বেতন তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমনকি যেদিন বেতন দেওয়া হয়, সেদিন তারা পুরো টাকা তুলতে পারেননি, এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।

ওষুধ কোম্পানি টেকনো ড্রাগ কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। এই কোম্পানির সহমহাব্যবস্থাপক মাজেদুল করিম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, নিম্ন আয়ের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কর্মীরা তার কাছে অভিযোগ করেছেন, ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না, সে কারণে কোম্পানি বাধ্য হয়ে নগখ টাকায় মজুরি পরিশোধ করছে।

তিনি আরও বলেন, তার নিজের ডেবিট কার্ড দিয়েও টাকা তোলা যাচ্ছে না।

আহসান মনসুর বলেন, এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির বছর নয়। তবে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসছে এবং প্রবাসী আয়প্রবাহ বাড়ছে। আমাদের এ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।

তিনি আশাবাদী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের মুদ্রা স্থিতিশীল করতে আরও ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

সূত্র : বাসস