img

পরিবারে অশান্তির মাঝেই বচ্চন পরিবারে সম্পত্তি ভাগ!

প্রকাশিত :  ০৫:৩২, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

পরিবারে অশান্তির মাঝেই বচ্চন পরিবারে সম্পত্তি ভাগ!

বেশ কিছুদিন ধরেই বচ্চন পরিবারে ঝামেলা চলছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। বিশেষ করে বচ্চন পরিবারের অন্দরের সমীকরণ যেন দিন দিন বদলাচ্ছে। পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চনের সম্পর্কটা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না। ফলে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজ বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন নায়িকা। এমনকি চলতি বছরে বচ্চন পরিবারের দীপাবলি অনুষ্ঠানেও যোগ দেননি অভিষেকপত্নী। 

সবমিলিয়ে বচ্চন পরিবারের অশান্তি স্পষ্ট হয়ে উঠছিল ভক্তদের কাছে। এরই মাঝে জানা গেল, দীপাবলিতে বাবা অমিতাভ বচ্চন নাকি মেয়ে শ্বেতাকে উপহারস্বরূপ লিখে দিয়েছেন তার সাধের জুহুর বাড়ি ‘প্রতীক্ষা’। 

বলা হয়, অমিতাভ বচ্চনের প্রথম সম্পত্তি এটি। অভিনেতার বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন এই বাংলোটি উপহার দেন তাকে। বাবা-মায়ের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি।

জানা গেছে, প্রতীক্ষায় দুটি অংশ রয়েছে। একটি ৮৯০.৪৭ স্কয়ার ফুটের। অন্যটি ৬৭৪ স্কয়ার ফুট। গত ৮ নভেম্বর এই গিফট ডিড সই করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গিফট ডিডের নথির ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।

এই গিফট ডিডের জন্য ৫০.৬৫ লাখ রুপির স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এই বাংলোর দাম আনুমানিক ৫০ কোটি রুপি। অমিতাভ এবং জয়া যৌথভাবে তাদের মেয়ে শ্বেতাকে এই বাংলো উপহার দিয়েছেন। 

পরিবারে নানা বিষয়ে অশান্তির মাঝেই শ্বেতাকে বাংলো উপহার দেওয়ার ঘটনা বচ্চন পরিবারের অশান্তি নতুন করে বাড়িয়ে তুলবে কি না সেটাই প্রশ্ন এখন ভক্তদের মাঝে। 

বিনোদন এর আরও খবর

img

ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি ইন্দ্রাণী

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ১২ মে ২০২৫

ইন্দ্রাণী হালদার টলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী । ছোট-বড় দুই পর্দাতেই যার উজ্জ্বল উপস্থিতি। বলা বাহুল্য, টালিগঞ্জের অন্যতম সফল অভিনেত্রী তিনি। তবে তার জীবনে রয়েছে এক বড় আফসোস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সে কথাই। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার জানান, ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি তিনি। স্বামীকেও দিতে পারেনি একজন বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, সেই সাক্ষাৎকারে একজন স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুচ্ছ কিংবা ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য মার্ক দিতে চাই। আমি বাজে বউ একদম। বরকে রান্না করে ভাত বেড়ে দেই না। বর কলকাতার বাইরে থাকে, এখানে এলে আমি বলতে থাকি, এই আমি ভাত রেখে গেলাম, খেয়ে নিও। আমার দেরি হচ্ছে, আমি গেলাম গেলাম… আসলে আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে, ওই ইচ্ছেটা তো আছে। কিন্তু শ্যুটিংয়ের চাপে করে উঠতে পারি না।’

এরপর ইন্দ্রাণী মনে জমে থাকা কষ্ট তুলে ধরেন। বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা আমি করতে পারিনি। যেটা বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এখনও ভাবলে আফসোস হয়। ক্যারিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই (অভিনেত্রীর স্বামী) একটা আফসোস।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ভাস্কর (ইন্দ্রাণীর স্বামী) মাঝেমাঝেই বলে, শুধু সংসারের জন্য দায়িত্বই পালন করে গেলে… একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হলো না। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিলাম। তোমারও ৪০-এর বেশি বয়স, আমারও। আর দরকার নেই থাক। আমি একটা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, ভাস্কর রাজি হয়নি। আমার মনে হয়, স্ত্রী হিসেবে আমি ভাস্করকে বাবা হওয়ার সুখটা দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ব্যাপার আমি অক্ষম।’

যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন যে, সন্তান না থাকলেও তার ও তার স্বামী ভাস্কর রায়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।