img

সিলেটে ছাত্রদলের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত :  ০৫:৪৪, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

 সিলেটে ছাত্রদলের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ

অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সিলেটে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন। রোববার বেলা দুইটার দিকে সিলেট নগরের বারুতখানা জেল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার বেলা দুইটার দিকে সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকায় কয়েকজন যুবক একত্র হন। পরে বারুতখানা এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে জেল রোডের দিকে এগোতে থাকেন। এ সময় মিছিলে থাকা নেতা–কর্মীরা বিএনপির ডাকা সপ্তম দফা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি জেল রোড পেরিয়ে বারুতখানা-নাইওয়রপুল সড়কের জেল রোড এলাকায় পৌঁছালে নেতা–কর্মীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যান। এর আগে বারুতখানা থেকে জেল রোড এলাকার দিকে যাওয়ার পথে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়।

মিছিলটিতে সিলেট নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি, জেলার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলামসহ একাধিক পদধারী নেতা ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বারুতখানা ও জেল রোড এলাকায় ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এ সময় পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ ছাড়া সড়কে চলাচল করা রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও অন্যান্য যানবাহন জেল রোড সড়কের দিকে না গিয়ে ঘুরিয়ে অন্যদিকে চলে যায়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, মিছিল কিংবা এ ধরনের কোনো তথ্য তিনি পাননি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

img

সুনামগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১১, আহত অর্ধশত

প্রকাশিত :  ১৫:০২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৪২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় নানাভাবে আহত হয়েছেন ৩০ জন। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধরা হলেন:  মুহিবুর রহমান চৌধুরী (২৫), আঞ্জু চৌধুরী (২৩), সোহেল চৌধুরী (২৫), জুয়েল চৌধুরী (৪০), আকমল চৌধুরী (৬২), কনর চৌধুরী (৫৫), শুভ চৌধুরী (২৭), ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী (৬৫), জাবেদ চৌধুরী (২৫), তাসিম চৌধুরী (২৮), রাবেল চৌধুরী (২৭), জুবেদ চৌধুরী (৩২) ও মুর্শেদ চৌধুরীকে (৪২) সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়, রাড়ইল গ্রামে আনু মিয়া চৌধুরী ও নানু মিয়া চৌধুরীর সঙ্গে একই গ্রামের জসীম উদ্দিন চৌধুরী ও সুমন চৌধুরীর লোকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা মোকদ্দমা।

মঙ্গলবার সকালে আনু চৌধুরীর দায়ের করা একটি মামলায় তদন্তে যায় দিরাই থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ করে পুলিশ গ্রাম থেকে ফেরার পর উভয়পক্ষের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রশান্ত সাগর দাস গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ডা. প্রশান্ত সাগর দাস বলেন, আহতদের শরীরে ছড়রা গুলি দেখা গেছে, যা মেডিকেল রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বললেন, আমি শুনেছি সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে গ্রামে অভিযান চলছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।



সিলেটের খবর এর আরও খবর