img

৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

প্রকাশিত :  ০৪:৩৫, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি। অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পাপুয়া নিউ গিনির উত্তর উপকূলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। তবে সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এএফপি বলছে, ভূমিকম্পটি উপকূল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে আঘাত হানে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির ইস্ট সেপিক প্রদেশের রাজধানী উইকাক শহর থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১২ কিলোমিটার (সাত মাইল) গভীরতায় ছিল বলে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র পৃথক এক বুলেটিনে বলেছে, ‘কম্পনের জেরে সুনামি হওয়ার কোনও হুমকি নেই’।

এর আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সে সময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট।

চলতি বছরের এপ্রিলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে প্রাণ হারান ১০ জন।

এর আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

img

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আইসিসি’র স্বাধীনতা হুমকির মুখে: ইইউ

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সতর্ক করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং এতে বিশ্বব্যাপী বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার ইইউ এক বার্তায় একথা জানায় । 

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, ট্রাম্প বৃহস্পতিবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যাতে বলা হয়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার মাধ্যমে দ্য হেগের আদালত তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কোস্টা এক্সে লিখেছেন, ‘আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আদালতের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

ইউরোপীয় কমিশন পৃথকভাবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে, এবং আইসিসির ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার ব্যবস্থা এবং দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ তুলে ধরেছে।

কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই নির্বাহী আদেশ চলমান তদন্ত এবং কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বব্যাপী দায়বদ্ধতা নিশ্চতে বছরের পর বছর ধরে চালানো প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’

কমিশনের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইইউ নির্বাহী আদেশের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবে এবং সম্ভবত আরও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মূল্যায়ন করবে।’

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে যে, আইসিসি ‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন কার্যক্রমে’ লিপ্ত হয়েছে। এটি আফগানিস্তানে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এবং গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্তের বিষয়ে আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশ ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

এই আদেশে আইসিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জমা রাখা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি যারা আদালতের তদন্তে সহায়তা করেছে তাদেরও একই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তিদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো আদালতের প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল কেউই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য নয়।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি কোস্টা বৃহস্পতিবার আইসিসির সভাপতি বিচারপতি টমোকো আকানে সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

কোস্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আইসিসি বিশ্বের কিছু নৃশংস অপরাধের শিকারদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা আদালতের কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।’

একজন ইইউ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকালে কোস্টা ও আকানে ইইউ’র পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি সমর্থন জোরদার করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।