img

টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ কার্যকর

প্রকাশিত :  ০৭:২৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ কার্যকর

দুই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মাধ্যমে তাদের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

জানা যায়, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হওয়ার পর গত ১৯ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেন  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তারা তিন জনই ছিলেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।

একই সঙ্গে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আজ বুধবার সকালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্ট গ্রহণ করেছেন। পদত্যাগ আজকে থেকেই কার্যকর হবে।

তিন জনের পদত্যাগের পর এখন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৪ জন। এর মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিন জন উপমন্ত্রী।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফশিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

img

ভারতকে একচুলও ছাড় নয়: হাসনাত

প্রকাশিত :  ১৭:৪৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৮, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ভারতকে একচুলও ছাড় দিতে নারাজ। 

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, ভারত আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশেকে দেখে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতেই ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। সেই ঐক্যে ধরে রাখতে হবে। ভারতের অপপ্রচার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রচার করতে হবে।

ভারত সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, এই বিষবাষ্পের বিপরীতে আমাদের প্রচার করতে হবে, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ বিশ্বদরবারে সেই তথ্য তুলে ধরতে হবে। জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে।

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতেই ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ভারত এতদিন বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে দেখেছে, এতে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক হয়নি, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক হয়নি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণের বিমাতাসুলভ সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, যত অসম চুক্তি হয়েছে সেই সঙ্গে ভারতের সাথে সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ফেলানীসহ সব সীমান্তে সব হত্যার তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন। এ লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামীকাল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে, পরদিন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন বলে আজ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ এর আরও খবর