img

লন্ডনে সম্প্রীতি কনসার্ট ৩ ডিসেম্বর

প্রকাশিত :  ১৫:০১, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

লন্ডনে সম্প্রীতি কনসার্ট ৩ ডিসেম্বর

আগামী ৩ ডিসেম্বর, রবিবার লন্ডনে ২য় বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সম্প্রীতি কনসার্ট।

প্রথম বছরে বিপুল মানুষের অংশগ্রহণ,একাত্মতা ও সংহতির মধ্য দিয়ে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান লন্ডনে ব্যাপক ভাবে মানুষকে আলোড়িত করেছিল ।

মূলত বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক নৃশংসতা ও বৈচিত্র্যময় ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান ও একাত্মতা জানাতে, বিলেতে বসবাসরত, সঙ্গীতশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, টিভি নির্মাতা, সাংবাদিক, লেখক—সহ সকল সাংস্কৃতিক, নান্দনিক ও সৃজনশীল শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের এক যৌথ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের উদ্যোগ, সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকে। ৩ ডিসেম্ভরের এই সম্প্রীতি কনসার্টে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ম্যানচেস্টার, লীডস, ওল্ডহ্যাম সহ বিভিন্ন শহর থেকে শিল্পী, সংস্কৃতি কর্মীরা এসে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যেক্তাগণ।

সম্প্রতি কনসার্ট ইউকের আয়োজকেদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৩ ডিসেম্ভর লন্ডনের মেফেয়ার ভ্যানুতে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই কনসার্টে কোন ধরণের পারিশ্রমিক ছাড়া, স্বপ্রণোদিত হয়ে যোগ দেবেন শিল্পী কলা কুশলী সবাই। সম্প্রীতি কনসার্টে থাকছে গান, কবিতা, নাটক, নৃত্য সহ নানাবিধ আয়োজন।

উদ্যেক্তাদের সমন্বয়ক উর্মি মাজহার বলেন, আমরা শুধু উদ্যেগটা নিয়েছি, বাকীটা সবাই মিলে খুব সুন্দরভাবে আয়োজন করেছেন। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা উদ্যেগটি নিয়েছি সেখানে আমরা শতভাগ সফল হবো বলে আশাবাদী। প্রবাসে তো আমাদের পক্ষে রাজপথে নামা সম্ভব না। শিল্পী, সংস্কৃতির মানুষের জায়গাটা ও ভিন্ন। যে দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধ করে একটি স্বাধীন দেশ অর্জন করেছে, সেই দেশ কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। সেই বার্তাটা আমরা দিতে চাই।হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা অটুট রাখতে আমরা হাতে হাত ধরে নানা পেশার, নানা ধর্মের, নানা মতের মানুষ, এক সাথে সেই আওয়াজটা তুলতে চাই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। আগামী ৩ ডিসেম্বর সবাইকে সম্প্রীতি কনসার্টে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। - সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 


কমিউনিটি এর আরও খবর

সকল মহলের সহযোগিতা কামনা

img

বাংলাদেশ সেন্টারের গ্রীন প্যানেল গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন : সেন্টার রক্ষা ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ চালুর স্বার্থে বিনা শর্তে যে কোন আপোষ-মীমাংসায় সম্মতি

প্রকাশিত :  ০৬:১৩, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লণ্ডনের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ সেন্টার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অনন্য স্মারক, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম হাই কমিশন ।বাংলাদেশ সেন্টার এক সময় সভার হল ,বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান ,নামাজের জন্য হল ও স্টুডেন্ট হোস্টেল ছিল । জমজমাট ছিল এ সেন্টার ।

জরাজীর্ন সেন্টারের ভবনে সংস্কার কাজ করার ফলে নতুন ভবনের অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে । কিন্তু  এ ঐতিহাসিক সেন্টারটি এখন নেতৃত্বের কোন্দলে সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে । বিগত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি কমিটি রয়েছে ।প্রতিটি গ্রুপই নিজকে বৈধ বলে দাবী করে আসছে ।কিন্তু চ্যারিটি কমিশন নাকি উভয় গ্রুপকে অবৈধ বলেছে ।বিগত দিনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন  হয়েছে ।বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে ।

পদাধিকার বলে মাননীয় হাইকমিশনার সভাপতি হয়ে অনেক চেষ্টা করেও বিরোধ মীমাংসা করতে পারেন নি। কমিউনিটির মুরুব্বীরা সালিশের চেষ্টা করেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন নি।কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে ।গতকাল গ্রীন প্যানেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টারটিকে রক্ষা করার জন্য সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব‍্য রাখেন এ কে এম শহীদুর রহমান । সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় যে- এই সংকট নিরসনের জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত সকল উদ্যোগই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তাই এই অচলাবস্থা সৃষ্টিকারীদের অপকৌশল বন্ধ করতে হবে। সেন্টারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নিরপত্তা বিধান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সেন্টারের ব্যাংক একাউন্ট ও ফান্ড এর অনুনোমোদিত ব্যবহার সম্পর্কে সকল ক্যাটাগরির সদস্যদেরকে অবহিত করাই এই সংবাদ সম্মেলনের  উদ্দেশ্য।

সভায় বক্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে কমিউনিটির  স্বার্থ ও সেবা গ্রহণকারীদের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিয়ে এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সবাইকে এক সাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিতে বৃটেনে নব-নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পদাধিকার বলে বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারপার্সন মান্যবর আবিদা ইসলাম মহোদয়কে এই সভা থেকে অনুরোধ জানানো হয়। এবং মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

সংকট সমাধানে উপায় হিসেবে দুটি প্রস্তাব করা হয়: 

১. সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ৪২ ধারা অনুযায়ী নোটিশ প্রদান এবং ৪৪ ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী কমিটি, উপ-কমিটিসমূহ গঠন। 

২. এজিএম ডেকে নির্বাচিত কমিটির হাতে সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব অর্পণ। 

সভায় সভাপতিত্ব করবেন সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মহিবুর রহমান মুহিব, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুর রহমান, সহ-সভাপতি জনাব ইছবাহ উদ্দিন, সহ-সভাপতি, জনাব হাবিবুর রহমান ময়না, চিফ-ট্রেজারার জনাব মোহাম্মদ ফাইজুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক জনাব শামীম আহমেদ ও যুগ্ম-ট্রেজারার জনাব নসিম আহমেদ।

কমিউনিটি এর আরও খবর