img

নেতানিয়াহুকে ‘গাজার কসাই’ বললেন এরদোগান

প্রকাশিত :  ০৯:৫৪, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নেতানিয়াহুকে ‘গাজার কসাই’ বললেন এরদোগান

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘গাজার কসাই’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অমানবিক হত্যাযজ্ঞের পরিস্থিতি দেখে  শুধু তা-ই না, ইসরাইলকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলেন তিনি। এদিকে মাতৃভূমি রক্ষার সংগ্রামের জন্য হামাসকে তিনি একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন বলেছেন বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি।

এরদোগান এক টেলিভিশনে মন্তব্য করে বলেন, নেতানিয়াহু ইতোমধ্যে গাজার কসাই হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বা ইহুদি বিরোধিতাকে সমর্থন করে সব ইহুদিকে অনিরাপদ করে তুলেছেন নেতানিয়াহু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোগানের এই মন্তব্য ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের উদীয়মান সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাদের সম্পর্ক প্রায় এক দশক খারাপ ছিল। সেটা ঠিক করে গত বছর আবার রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছিল দুই পক্ষ।

দুই দেশের সম্পর্ক ভালো হওয়ার পর বাণিজ্য সম্পর্কোন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বাস গড়ে তোলার আলোচনাও শুরু করেছিলেন তারা।

কিন্তু গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে তেলআবিবের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে তুরস্ক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। গত সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত ৬০ জন ইসরাইলি জিম্মি ও ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

img

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আইসিসি’র স্বাধীনতা হুমকির মুখে: ইইউ

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সতর্ক করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং এতে বিশ্বব্যাপী বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার ইইউ এক বার্তায় একথা জানায় । 

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, ট্রাম্প বৃহস্পতিবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যাতে বলা হয়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার মাধ্যমে দ্য হেগের আদালত তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কোস্টা এক্সে লিখেছেন, ‘আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আদালতের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

ইউরোপীয় কমিশন পৃথকভাবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে, এবং আইসিসির ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার ব্যবস্থা এবং দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ তুলে ধরেছে।

কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই নির্বাহী আদেশ চলমান তদন্ত এবং কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বব্যাপী দায়বদ্ধতা নিশ্চতে বছরের পর বছর ধরে চালানো প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’

কমিশনের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইইউ নির্বাহী আদেশের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবে এবং সম্ভবত আরও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মূল্যায়ন করবে।’

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে যে, আইসিসি ‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন কার্যক্রমে’ লিপ্ত হয়েছে। এটি আফগানিস্তানে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এবং গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্তের বিষয়ে আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশ ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

এই আদেশে আইসিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জমা রাখা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি যারা আদালতের তদন্তে সহায়তা করেছে তাদেরও একই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তিদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো আদালতের প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল কেউই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য নয়।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি কোস্টা বৃহস্পতিবার আইসিসির সভাপতি বিচারপতি টমোকো আকানে সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

কোস্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আইসিসি বিশ্বের কিছু নৃশংস অপরাধের শিকারদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা আদালতের কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।’

একজন ইইউ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকালে কোস্টা ও আকানে ইইউ’র পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি সমর্থন জোরদার করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।