img

ওসির পর দেশের সব ইউএনওকে বদলির নির্দেশ

প্রকাশিত :  ১৮:১৫, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

ওসির পর দেশের সব ইউএনওকে বদলির নির্দেশ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) অত্যাসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব থানার ওসির পর এবার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির আদেশ দিয়েছে। 

সাংবিধানিক এই সংস্থা ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠানো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অতি জরুরি এক চিঠিতে সব থানার ওসিকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। 

ইসির উপ সচিব মিজানুর রহমানের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দেশের সব থানার ওসিদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

যেসব থানায় ওসিদের ছয় মাসের বেশি চাকরির সময় পার হয়েছে তাদের অন্যত্র বদলির প্রস্তাব পাঁচ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো প্রয়োজন।  

একই সঙ্গে বিষয়টি অবগতির জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

জাতীয় এর আরও খবর

img

বাংলাদেশে ভ্রমণে যুক্তরাজ্যের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত :  ১৫:১৭, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৪০, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণবিষয়ক পরামর্শে এই সতর্কতা জানিয়েছে।

ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বিচার হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। জনাকীর্ণ এলাকা, ধর্মীয় স্থাপনা ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন জায়গায় এই হামলা হতে পারে। কিছু গোষ্ঠী এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করেছে, যাদের ইসলাম পরিপন্থী জীবনাচরণ ও মতামত রয়েছে বলে তারা মনে করে।

ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বলেছে, ‘চারপাশ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে পুলিশের স্থাপনাগুলোর আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বড় ধরনের সমাবেশ এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি আছে এমন জায়গা এড়িয়ে চলুন।’

চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় থেকে এখনো পরিস্থিতি অস্থির রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশন বলেছে, রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এগুলো দ্রুত সহিংস হয়ে উঠতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। দেশজুড়ে শহর ও নগরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের সময় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পুলিশি কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলেও উল্লেখ করেছে হাইকমিশন। সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশজুড়ে কিছু থানায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলোর বেশিরভাগ আবার সচল হয়েছে। তবে সব পুলিশ সদস্য কাজে ফেরেননি।

জাতীয় এর আরও খবর