img

বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন: ইসি

প্রকাশিত :  ১৩:৫৯, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন: ইসি

নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ গণমাধ্যমে মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলে ইসি।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টক-শো বা পত্র-পত্রিকায় মন্তব্য করছেন যে নির্বাচন কমিশন আচরণবিধিমালা প্রয়োগের বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। এ কারণে আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরার জন্য বিবৃতি দেয় ইসি।

আচরণবিধিমালার ধারা উল্লেখ করে ইসির এই বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন। প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ দিনের বেশি সময় পাবেন না।

ইসি বলেছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগপর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণবিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ হবে একটি নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের সবাই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণবিধিমালা প্রযোজ্য হবে। আচরণবিধি অনুযায়ী ২১ দিন আগে (ভোট গ্রহণের) কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। 

প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বরের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে এর আগে কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারণারও সুযোগ নেই।


জাতীয় এর আরও খবর

img

সাবেক ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ কর্মকর্তা আটক

প্রকাশিত :  ১৫:৫৪, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৫৯, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বহুল আলোচিত-সমালোচিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সাবেক কমিশনার উপমহাপরিদর্শক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ও শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পৃথক অভিযানে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তিনজনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো না হলেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোল্যা নজরুল ইসলাম ছাড়া বাকি তিনজন হলেন নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত।

বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ২০২৪ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সক্রিয় ছিলেন। আর আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটের পুলিশ সুপার থাকাকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগ করেন। একসময় সিটিটিসিতে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ ছিল।

অন্যদিকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে ২০২৩ সালের ৩১ মে জিএমপি থেকে সরিয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ডিআইজি করা হয়। এরপর তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) বদলি হন। সর্বশেষ মোল্যা নজরুল ইসলামকে সিআইডি থেকে সরিয়ে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়েছিল। মোল্যা নজরুল বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে কর্মরত থাকাকালীন নির্বাচন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বলপ্রয়োগের অভিযোগে সমালোচিত হন। এর আগে সিটিটিসির পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ ওঠে।

২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বলপ্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত হন।

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং পরে তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়।

জাতীয় এর আরও খবর