সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, ইসরাইল হামলা বন্ধ না করলে কোনো আলোচনা নয়
হামলা বন্ধ না করলে ইসরাইলের সঙ্গে বন্দিবিনিময় নিয়ে কোনো আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়েছেন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান সালেহ আল -আরোরি।
তিনি শনিবার বলেন, হামাসের হাতে এখন যেসব বন্দী আছে তারা ইসরাইলি সৈন্য এবং বেসামরিক নাগরিক। আবার এসব বেসামরিক নাগরিক আগে সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল। যুদ্ধবিরতি এবং সকল ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি না দিলে তাদেরকে ছাড়া হবে না।
তিনি বলেন, \'যুদ্ধকে তার গতিতে চলতে দিন। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। আমরা এ নিয়ে আপস করব না।
এদিকে শনিবার হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় গাজায় দু\'শ\'র বেশি লোক নিহত হয়েছে।
মোসাদের দলকে ফিরে আসার নির্দেশ ইসরাইলের
আলোচনায় ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টি হওয়ায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় যাওয়া গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দলকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। শনিবার (২ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টি হওয়ায় মোসাদের দলকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন করেনি। তাদের সাথে চুক্তি ছিল, তারা সকল নারী ও শিশু বন্দীদের ছেড়ে দেবে। এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও হামাসের কাছে দেয়া হয়েছিল। এটি অনুমোদনও তারা দিয়েছিল।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘মোসাদ প্রধান সিআইএ প্রধান, মিসরের গোয়েন্দা মন্ত্রী এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যাদের অসাধারণ প্রচেষ্টায় গাজা উপত্যকা থেকে ৮৪ ইসরাইলি নারী ও শিশু এবং ২৪ জন বিদেশী নাগরিক মুক্তি পেয়েছেন।’
এর আগে শনিবারই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে কাতারে যাচ্ছে মোসাদের একটি দল। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোসাদের সদস্যদের ফিরে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এরমাধ্যমে মূলত হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে আপাতত নতুন করে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স, টাইমস অব ইসরাইল