img

গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

প্রকাশিত :  ০৬:১৩, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপের পর অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে ‘মিগজাউম’- এ পরিণত হয়েছে। ফলে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত নামিয়ে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলেছে।

রোববার সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে। এটি রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত নামিয়ে তার পরিবর্তে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এরপর এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। এরপর এটি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ঘেঁষে এগিয়ে মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসঙ্ঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩ দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। ‘মিগজাউম’ নামটি মিয়ানমারের দেয়া।

চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তখন দেশের দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।


বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি: যৌক্তিক ৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ফের লংমার্চের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত :  ১১:২২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:২৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দেয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত আশ্বাসে বাস্তবায়ন হয়নি বিধায় যৌক্তিক ৪ দফা তারা ফের লংমার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও যৌক্তিক ৪ দফা দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সমন্বয়ক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “গত ২২ জানুয়ারি শাহবাগে ৬ ঘন্টা ব্লকেড কর্মসূচি এবং ৯ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ টু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়—এই দুটি বিশাল কর্মসূচির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে দুটি ‘নোট অব ডিসকাশন’ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছিল, তিন দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রদান, স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতকরণ ও কোর্স কারিকুলামের মানোন্নয়ন করা হবে। কিন্তু বাস্তবতায় এর কিছুই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “দুই মাস পার হয়ে গেলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করেনি। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার যে উদাসীনতা দেখাচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। যদি অতিদ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে সারাদেশের সকল ম্যাটস শিক্ষার্থী, চাকরি প্রত্যাশী এবং পেশাজীবীদের নিয়ে আমরা 'ঢাকা মুখী লংমার্চ-২' কর্মসূচির ঘোষণা দিতে বাধ্য হব।”

ম্যাটস শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ এর আরও খবর