img

আরও শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম

প্রকাশিত :  ০৪:৩৩, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আরও শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম

এবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষর করা এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। 

ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্ররকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিচক্রের সম্ভাব্য যে গতিপথ, তাতে বাংলাদেশের দিকে আসার শঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানছে না। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশের দিকে না এলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে।

img

৪৩ বিসিএসে ২০৬৪ জনের নিয়োগ, ৯৯ জনের ফল স্থগিত

প্রকাশিত :  ১৩:৪২, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:১৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এতে আপাতত নিয়োগ পেয়েছেন দুই হাজার ৬৪ জন। নানা কারণে স্থগিত থাকছে ৯৯ জনের ফল। এই বিসিএসে পিএসসি থেকে দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছিল।

বেশ আগেই ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।

জানা গেছে, পিএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশের তালিকা জনপ্রশাসনে পাঠানো হয়। এরপর এই তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নানা ধরনের তথ্য যাচাই করা হয়। সব তথ্য পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনক্রমে নিয়োগ দেয়া হলো।

নিয়োগের শর্তগুলো হলো- তাকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে; উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাকে চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেরূপ পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে; তাকে দুই বছর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে, প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিসকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে, শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্মকমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে; প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে; প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম, ভ্রমণভাতা, অন্যান্য ভাতাদি ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন, কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে; ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগে যদি তিনি তার কর্তব্য ও কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার কাছে সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে। সেই হিসাবে প্রায় চার বছর পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলো।

৪৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।