img

প্রকৌশল খাতের ১৩ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ

প্রকাশিত :  ০৬:১০, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রকৌশল খাতের ১৩ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ১৩ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী । যে কারণে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৪২ কোম্পানির মধ্যে অক্টোবর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে এই ১৩ কোম্পানির শেয়ারে। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১৩টিতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার। ঢাকা স্টক এক্সমচেঞ্জ (ডিএসই) সুত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোম্পানিগুলো হলো-বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, বাংলাদেশ অটোকারস. বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস, কপারটেক ইন্ডাষ্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, কে এন্ড কিউ (বাংলাদেশ), কেডিএস এক্সেসরিস, নাভানা সিএনজি, ওআইমেক্স ইলেক্ট্রোডস, রংপুর ফাউন্ড্রি, রেনউইক যজ্ঞেম্বর ও রতনপুর স্টিল রি রোলিং মিলস।

দেশবন্ধু পলিমার

কোম্পানিগুলির মধ্যে সবচে বেশী প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে দেশবন্ধু পলিমারে। সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৯.০৮ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ১৭.৫৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.৬২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৫৭.৩৮ শতাংশ থেকে ১৭.৫৪ শতাংশ কমে ৩৯.৮৪ শতাংশে দাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২১.০৪ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.১০ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৪৮.৮৬ শতাংশ থেকে ০.০৬ শতাংশ কমে ৪৮.৮০ শতাংশে দাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ অটোকারস

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৯.৬৬ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.২৩ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৬০.২৮ শতাংশ থেকে ০.৫৭ শতাংশ কমে ৫৯.৭১ শতাংশে দাড়িয়েছে।

বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৬.২৭ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.৯৭ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ২০.৫০ শতাংশ থেকে ০.৭০ শতাংশ কমে ১৯.৮০ শতাংশে দাড়িয়েছে।

কপারটেক ইন্ডাষ্ট্রিজ

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১১.২০ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ১.২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৪২ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৫৮.৭৩ শতাংশ থেকে ১.২২ শতাংশ কমে ৫৭.৫১ শতাংশে দাড়িয়েছে।

ইস্টার্ন ক্যাবলস

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৬.৬৯ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.১৭ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৩১.২৮ শতাংশ থেকে ০.৪৮ শতাংশ কমে ৩০.৮০ শতাংশে দাড়িয়েছে।

কে এন্ড কিউ (বাংলাদেশ)

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.০৭ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.৬০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬৭ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৫১.৭২ শতাংশ থেকে ০.৬০ শতাংশ কমে ৫১.১২ শতাংশে দাড়িয়েছে।

কেডিএস এক্সেসরিস

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১০.৭৯ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.০৮ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ২৫.২৪ শতাংশ থেকে ০.২৯ শতাংশ কমে ২৪.৯৫ শতাংশে দাড়িয়েছে।

নাভানা সিএনজি

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৫.৭২ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৮১ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৩১.৭৯ শতাংশ থেকে ০.০৯ শতাংশ কমে ৩১.৭০ শতাংশে দাড়িয়েছে।

ওয়াইমেক্স ইলেক্ট্রোডস

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৮.০০ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ২.৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.৪৭ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৪১.৯৯ শতাংশ থেকে ২.৪৭ শতাংশ কমে ৩৯.৫২ শতাংশে দাড়িয়েছে।

রেনউইক যজ্ঞেম্বর

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.০৩ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.২৬ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৩৪.৯৭ শতাংশ থেকে ০.২৩ শতাংশ কমে ৩৪.৭৪ শতাংশে দাড়িয়েছে।

রংপুর ফাউন্ড্রি

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২১.৮৯ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ১.০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৯৮ শতাংশে।একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ২৮.২২ শতাংশ থেকে ১.০৯ শতাংশ কমে ২৭.১৩ শতাংশে দাড়িয়েছে।

রতনপুর স্টিল রি রোলিং মিলস

সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৩.৮২ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ০.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৯৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ সেপ্টেম্বর মাসে ৩৬.২৫ শতাংশ থেকে ০.১২ শতাংশ কমে ৩৬.১৩ শতাংশে দাড়িয়েছে।

img

কমেছে চাল-পেঁয়াজ-আলুর দাম, স্বস্তিতে ক্রেতারা

প্রকাশিত :  ০৪:০৯, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কিছুটা কমেছে। ধরনভেদে প্রতি কেজি চালে ১-৪ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। এর পাশাপাশি সামান্য দাম কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর। তবে মুরগির দামে কিছুটা বাড়তি প্রবণতা দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন পাইকারি বিক্রির স্থান বা মোকামগুলোতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে খুচরা পর্যায়েও কিছুটা দাম কমছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল মার্কেট- এই তিন বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত দেড় মাসের মধ্যে ধরনভেদে চালের দাম কেজিতে ৮-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। আমনের ভরা মৌসুমেও হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষ। এরপর সরকার চালের দাম কমাতে আমদানিসহ কিছু উদ্যোগ নেয়। এর প্রভাবে গত এক সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা কমেছে।

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫ টাকায়।

মিলমালিক ও পাইকারেরা বলছেন, চালের আমদানি বাড়ানো এবং এসব চাল গ্রামপর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় দাম কমতির দিকে। এ ক্ষেত্রে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রভাবও পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব চালের দাম এক সপ্তাহ আগে ১-৪ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। যেমন মাঝারি মানের ব্রি-২৯ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ চালের দাম ছিল ৬২-৬৫ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। আবার মোটা বলে পরিচিত স্বর্ণা চালের দাম ৩ টাকা কমে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও ঢাকার সব খুচরা বাজারে কম দামের চাল বিক্রি শুরু হয়নি।

এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কিছুটা কমেছে। বাজারে এখন নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কম। খুচরা পর্যায়ে গতকাল এক কেজি পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে এই দাম আরও ৫ টাকা বেশি ছিল। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দামও কেজিতে ২-৫ টাকা কমেছে। এক কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৮-২০ টাকায়। আগের সপ্তাহে এই দাম ছিল ২০-২৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে আলু ও পেঁয়াজ আরও ৫ টাকা বেশি দামেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যান্য মসলা পণ্যের মধ্যে এখন প্রতি কেজি রসুনের দাম ২২০-২৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি আদা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল রাজধানীতে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিন-চার দিনে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। গতকাল বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ দাম কেজিতে ১০ টাকা কম ছিল। অন্যদিকে এক কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩২০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৮০-৩১০ টাকা। তবে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫ টাকায়।