img

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে যে ৫ খাবার

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে যে ৫ খাবার

ত্বক ভালো রাখার কিছু  উপায় আছে যেগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে, না হলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা, ত্বকের জন্য মানানসই উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা ইত্যাদি। ত্বক ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম আর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভীষণভাবে জড়িত।

কিছু খাবার আছে যা খেলে প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে। এগুলো হলো—

টমেটো : টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানও করে। ত্বক পরিচর্যায় টমেটোও হয়ে উঠতে পারে অন্যতম উপাদান। ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে টমেটো মাখলেই হবে না, খেতেও হবে। সালাদেও টমেটো খেতে পারেন।

ঘি : ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ঘি অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং জেল্লা বৃদ্ধিতে ঘি ভীষণ উপকারী। এ ক্ষেত্রে রান্নায় বেশি ঘি ব্যবহার না করলে দুধে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।

পেঁপে : পেঁপেতে জলের পরিমাণ বেশি এবং সোডিয়াম কম। এতে ভিটামিন এ, সি, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। নিস্তেজ ত্বকের জেল্লা ফেরাতে এবং ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে হলে নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন।

শসা : শসায় ৯৫ শতাংশেরও বেশি জল থাকে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য রোজ শসা খেতেই হবে। শসায় অনেক জৈব সক্রিয় যৌগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিউকারবিটাসিন, ভিটেক্সিন, ওরিয়েন্টিন এবং এপিজেনিন যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

আনারস : বর্ষায় আনারসের চাহিদা কেবল খাওয়ার পাতেই নয়। ক্লান্ত ত্বককে চনমনে করতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। আনারসের মধ্যে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ-কে ব্যবহার করে বহু প্রসাধনী সংস্থা তাদের বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রীতে আনারস ব্যবহার করে। তবে কেবল মাখলেই নয়, নিয়ম করে আনারস খেলেও কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়।





img

বন্যা পরবর্তী সময়ে যা করা উচিত

প্রকাশিত :  ১০:০৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তলিয়ে গেছে দেশের ১১ থেকে ১৩টি জেলা আকস্মিক বন্যায়। বন্যা-কালীন সময়ে ত্রাণ ও দুর্গতদের সাহায্য গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন ও কিছু করণীয় থাকে। 

আভাস পেলে যা করবেন

আকস্মিক বন্যার শঙ্কা অনেক বেড়েছে। তাই বন্যার আভাস পেলে মুড়ি, চিড়া, গুড়, চিনি বা শুকনো জাতীয় খাবার সংরক্ষণ করা ভালো। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চার ব্যবস্থা করা ভালো। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য চুলা ও রান্না করার জন্য শুকনো জ্বালানির ব্যবস্থা রাখতে পারেন। বাড়ির বৃদ্ধ, শিশু, শারীরিক প্রতিবন্ধী বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীর দিকে বিশেষ নজর রাখুন। এছাড়া টাকা, জমির দলিল, শিক্ষা সনদসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদে রাখুন। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংরক্ষণে রাখুন। বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার পানিতে হাঁটবেন না, সাঁতার কাটবেন না বা গাড়ি চালাবেন না। কারণ ৬ ইঞ্চি পানির স্তরেও আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন।

ডায়রিয়া হলে

বন্যার সময় ডায়রিয়া বেশি দেখা দেয়। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। লবণ ও পানির অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, তা যদি দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, মানুষ তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন ও শরীরে লবণ পানির ঘাটতি দেখা দিলে মৃত্যু হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

বন্যার সময় চর্মরোগ

বন্যার পানি গোসল বা গায়ে লাগানো থেকে বিরত থাকুন। কেননা এ পানি বিভিন্ন জীবাণুর ধারক ও বাহক। তাই এ পানির সংস্পর্শে বিভিন্ন চর্ম রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব সময় পানির সংস্পর্শে থাকার জন্য হাতে-পায়ে স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার কারণে ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে।

টিউবওয়েল ডুবে গেলে

যেসব টিউবওয়েল বন্যায় ডুবে গেছে, সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এ কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন।

বাড়ি ফিরলে

অনুমতি দিলেই বা নিরাপদ বলার পরেই বাড়ি ফিরবেন। একটি সারভাইভাল কিট প্যাক করুন। সেখানে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিন। প্রত্যেকের জন্য একটি করে পোশাক, প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন।  জরুরি তথ্যের জন্য রেডিও, স্থানীয় পরিবর্তনকারী সিস্টেম বা সরকারী নির্দেশাবলী শুনুন। বাড়িতে ঢোকার আগে দেখে নিন কোনো কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে কি না। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিদর্শন করার আগে পাওয়ার চালু করবেন না। সাপ ও বিভিন্ন প্রাণী আপনার বাড়িতে থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ও বুট পরুন। বন্যা-দূষিত প্রতিটি ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও শুকিয়ে নিন।