img

শুভ ‘বড়দিন’ আজ

প্রকাশিত :  ০৬:২১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

শুভ ‘বড়দিন’ আজ

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শুভ বড়দিন আজ। এ উপলক্ষে দেশের সব গির্জা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে-নতুন রঙে। রোববার রাত থেকেই তা দেখতে গির্জাগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা রাজধানীর গির্জাগুলোতে। ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে বেশিরভাগ গির্জা, চলছে প্রার্থনার প্রস্তুতি।

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালার গির্জায় উৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে গোটা এলাকা। রঙিন তারায় জ্বল জ্বলে ক্রিসমাস ট্রি। বাংলাদেশে এই উৎসব বড়দিন বার ক্রিসমাস ডে নামে পরিচিত। বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারির কারণে বড় দিনের উৎসব সীমিত আকারে পালন করা হলেও এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে গির্জাগুলো। মূলত খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের দিনে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। তাই আজ সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করবেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা।

বড়দিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’ ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যিশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। তিনি তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সব সদস্যকে ‘বড়দিন’ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

img

পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

প্রকাশিত :  ১৭:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পৌঁছান তিনি।

এর আগে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ইতালির উদ্দেশে কাতার ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছায়। সেখানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।

বিশ্বের প্রথম লাতিন আমেরিকান পোপ, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য হতে চলেছে আগামীকাল শনিবার সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার সামনে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে। এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন বিশ্বের নানা দেশের নেতারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। তা ছাড়া অন্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে ফ্রান্সিসের জন্মভূমি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবেন। চার্চের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল কলেজের ডিন জিওভান্নি বাত্তিস্তা রে।

জানা গেছে, শেষকৃত্যের শেষে তিনি ‘চূড়ান্ত সমর্পণ প্রার্থনা’ পাঠ করবেন, যার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পোপকে ঈশ্বরের হাতে সমর্পণ করা হবে।

এরপর পোপের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রোমের সান্তা মারিয়া মেজিওর ব্যাসিলিকায়, যেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।

পোপ ফ্রান্সিস প্রথা ভেঙে সেন্ট পিটার্সের বদলে রোমের সান্তা মারিয়া ব্যাসিলিকায় সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের বহু পূর্বসূরির সমাধি আছে।

৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস চলতি বছরের প্রথম দিকে দুইবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন।

প্রায় এক মাস আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ভ্যাটিক্যানের বাসায় ফিরেছিলেন।

ইস্টার সানডে উপলক্ষে রবিবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারেও হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরদিন সকালে ভ্যাটিকান তার মৃত্যুর খবর জানায়।