শরীর উষ্ণ রাখবে যেসব খাবার
শীতে হু হু করে কাঁপার সঙ্গে রয়েছে উত্তাপ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। শীতে সামান্য উত্তাপের আশায় থাকে অনেকে। এক্ষেত্রে শরীর গরম করে এমন খাবারও খোঁজেন অনেকে। তবে সহজপাচ্য ও দ্রুত শরীর গরম করে এমন খাবার খুঁজে বের করা কঠিন কি? আদতে নয়।
চিকিত্সাবিজ্ঞানের ভাষায় একে থার্মোজেনেসিস নামে কিছু খাবার আছে যা শরীরকে দ্রুত গরম করে। হেলদি ফ্যাট বা স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার অল্প পরিমাণে খেলেও শরীর গরম থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে চারটি হলো:
ঘি
ঘি আমাদের জন্য এক ঐতিহ্যবাহী খাবার। শুধু সুনামে নয়, পুষ্টিমান থেকেও অন্যান্য চর্বির তুলনায় এটি ভালো। ঘিয়ের মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান সরাসরি লিভার শোষণ করে নেয় এবং শরীরে শক্তি জোগানোর স্বার্থে দ্রুত পুড়ে যায়। তাছাড়া ঘিতে বিউটারিক অ্যাসিড আছে যা একটি শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এই শর্ট ফ্যাটি অ্যাসিড হজম সহজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
তিল
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে তিলের জুড়ি নেই। পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তিল বীজ। শীতকালে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে তিলের বীজে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ।
ভেষজ চা
শীতে ঘরেই ভেষজ চা বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। চিনি ছাড়া আদা, যষ্টিমধু ও তুলসী দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চা। আদা হজমের জন্য ভালো যা থার্মোজেনেসিসকে উদ্দীপিত করতে পারে। এটি একটি ডায়াফোরটিক, যা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সাহায্য করে। যষ্টিমধুতে গ্লাইসিরিজিন নামক একটি রাসায়নিক রয়েছে— যা ভেষজটিকে এর মিষ্টি স্বাদের পাশাপাশি প্রদাহরোধী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য দেয়। তুলসী শীতকালীন রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
রাগি
ফিঙ্গার মিলেট আমাদের কাছে এত পরিচিত না। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর রাগি বা ফিঙ্গার মিলেটে ফ্লাভোনয়েড, লিগনিন এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এটি আমাদের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং শীতকালে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে।