img

শরীর উষ্ণ রাখবে যেসব খাবার

প্রকাশিত :  ০৯:২৭, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

শরীর উষ্ণ রাখবে যেসব খাবার

শীতে হু হু করে কাঁপার সঙ্গে রয়েছে উত্তাপ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। শীতে সামান্য উত্তাপের আশায় থাকে অনেকে। এক্ষেত্রে শরীর গরম করে এমন খাবারও খোঁজেন অনেকে। তবে সহজপাচ্য ও দ্রুত শরীর গরম করে এমন খাবার খুঁজে বের করা কঠিন কি? আদতে নয়।

চিকিত্সাবিজ্ঞানের ভাষায় একে থার্মোজেনেসিস নামে কিছু খাবার আছে যা শরীরকে দ্রুত গরম করে। হেলদি ফ্যাট বা স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার অল্প পরিমাণে খেলেও শরীর গরম থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে চারটি হলো:

ঘি

ঘি আমাদের জন্য এক ঐতিহ্যবাহী খাবার। শুধু সুনামে নয়, পুষ্টিমান থেকেও অন্যান্য চর্বির তুলনায় এটি ভালো। ঘিয়ের মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান সরাসরি লিভার শোষণ করে নেয় এবং শরীরে শক্তি জোগানোর স্বার্থে দ্রুত পুড়ে যায়। তাছাড়া ঘিতে বিউটারিক অ্যাসিড আছে যা একটি শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এই শর্ট ফ্যাটি অ্যাসিড হজম সহজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

তিল

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে তিলের জুড়ি নেই। পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তিল বীজ। শীতকালে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে তিলের বীজে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ। 

ভেষজ চা

শীতে ঘরেই ভেষজ চা বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। চিনি ছাড়া আদা, যষ্টিমধু ও তুলসী দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চা। আদা হজমের জন্য ভালো যা থার্মোজেনেসিসকে উদ্দীপিত করতে পারে। এটি একটি ডায়াফোরটিক, যা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সাহায্য করে। যষ্টিমধুতে গ্লাইসিরিজিন নামক একটি রাসায়নিক রয়েছে— যা ভেষজটিকে এর মিষ্টি স্বাদের পাশাপাশি প্রদাহরোধী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য দেয়। তুলসী শীতকালীন রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।

রাগি

ফিঙ্গার মিলেট আমাদের কাছে এত পরিচিত না। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর রাগি বা ফিঙ্গার মিলেটে ফ্লাভোনয়েড, লিগনিন এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এটি আমাদের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং শীতকালে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে।


img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।