img

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর কারাদণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:৪৪, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর কারাদণ্ড

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরির ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ জুন আলেশা মার্ট থেকে ডিসকাউন্টে ক্রয়ের জন্য একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন নুরুজ্জামান রিপন নামের এক গ্রাহক। মূল্য বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করেন ওই গ্রাহক। টাকা পরিশোধের পর ৪৫ দিন পার হলেও তার মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেয় আলেশা মার্ট। এরপর বারবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা চেক প্রদান করে আলেশা মার্ট। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টালবাহানা করতে থাকে। পরে এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৯ মে ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান রিপন বাদী হয়ে মামলা করেন। রিপন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৭ এর গাড়িচালক।

img

পুতিনের বয়স কমানোর ইচ্ছা: কী বলছেন চিকিৎসকেরা

প্রকাশিত :  ১০:১৬, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর বৃদ্ধ থাকতে চান না। বার্ধক্যকে থামিয়ে দিতে চান। বরং বয়সের কাঁটা ঘুরবে বিপরীতে। বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখার এই যে অদম্য বাসনা এর থেকেই ‘অ্যান্টি-এজিং’ নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়েই। তবে শরীরে বয়সের ছাপ লুকিয়ে রাখার ‘অ্যান্টি-এজিং থেরাপি’ এক রকম, আবার একেবারে বুড়ো থেকে যুবক হয়ে ওঠার পদ্ধতি অন্যরকম।

বার্ধক্যের দোরগোড়ায় আসামাত্রই জীবনের চাকা ঘুরিয়ে পেছন দিকে চলবে। অর্থাৎ ফিরে যাওয়া যাবে যৌবনে। ক্ষমতা ও শক্তিকে বশে রাখতে বার্ধক্যের সঙ্গেই যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

বিজ্ঞানী-চিকিৎসকদের ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে তিনি নির্দেশ জারি করেছেন— যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুবক হওয়ার ওষুধ আবিষ্কার করতে হবে। জলে নেমে হোক, পাতাল ফুঁড়ে হোক অথবা পৃথিবীর আনাচেকানাচে ঘুরে, বয়স কমানোর কৌশল খুঁজে বার করতেই হবে। এক কথায়— অমর হওয়ার বাসনাই প্রকাশ করেছেন পুতিন।

এ ক্ষেত্রে গোটা ব্যাপারটাই হলো প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কারসাজি করা। তাতে একদিকে যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু প্রক্রিয়া করতে হবে, তেমনই চারপাশের বাস্তুতন্ত্রেও অনেক বদল আসবে।

এখন কথা হলো বার্ধক্যকে কি সত্যিই থামিয়ে দেওয়া সম্ভব? এই বিষয়ে স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন নিয়ে গবেষণারত মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, আজ না হলেও আগামী দিনে বয়সের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি যে আবিষ্কার হবে না, তা বলা যায় না। স্টেম কোষ প্রতিস্থাপন এবং ক্লোনিং— এই দুই প্রক্রিয়ায় অসাধ্য সাধন সম্ভব। যদিও তা পুরোপুরি অনৈতিক ও প্রকৃতির নিয়মবিরুদ্ধ।