img

কেন ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ

প্রকাশিত :  ০৭:৩০, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৪২, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কেন ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ
ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন নিপীড়ন বা হয়রানির শিকার পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে বুধবার মার্কিন সেনেটরদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েন মার্ক জাকারবার্গসহ অন্যরা। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ ওই সব মা-বাবা ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন, ফেসবুক ও অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির জন্য যাদের সন্তানদের ক্ষতি হয়েছে।
একজন সেনেটর সরাসরি অভিযোগ করেন, জাকারবার্গরা এমন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছেন, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।
শুনানির সময় জাকারবার্গ ওই সন্তানদের অভিভাবকদের বলেন, ‘আপনাদের যে কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্যদের না হয়।’
সেনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি ওই হাইটেক কর্মকর্তাদের ডেকেছিল এবং তাদের কঠিন প্রশ্ন করে। এর নাম দেয়া হয়েছিল ‘বিগ টেক অ্যান্ড অনলাইন চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন ক্রাইসিস’।
জাকারবার্গ ছাড়াও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ, স্নাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল, ডিসকর্ড সিইও জেসন সিট্রঁ এবং এক্স-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রধানও ছিলেন।

সেনেটরদের নিন্দা
সেনেটর ডিক ডুবিন ছিলেন ওই কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানিগুলো যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, তা প্রচুর বাচ্চার কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিগুলো সুরক্ষার পেছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেনি, প্রাথমিক সুরক্ষার থেকে লাভকেই বড় করে দেখেছে। এর ফলে বাচ্চারা বিপদে পড়েছে।’
সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘মিস্টার জাকারবার্গ, আপনি ও আপনার কোম্পানিগুলোর কাজ আমাদের সামনে আছে। আমি জানি, আপনি কখনোই এমন পরিস্থিতি চাইবেন না, তা সত্ত্বেও আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনার প্রোডাক্ট মানুষকে মারছে।’
জাকারবার্গ সেনেটরদের বলেন, ‘ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখাটা প্রথম থেকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলেছে। আমাদেরও প্রোডাক্টের সুরক্ষা বদলাতে হয়েছে।’
তিনি স্বীকার করেন, ‘সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।’
অনলাইন সুরক্ষায় অর্থ খরচ করবে কোম্পানিগুলো
টিকটক সিইও শাও জি চিউ বলেন, ‘আমার তিনটি সন্তান আছে। আমি জানি, যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা খুবই ভয়ের এবং প্রতিটি মা-বাবার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো।’
তিনি জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মানুষের আস্থা ফেরাতে তিনি ২০০ কোটি ডলার খরচ করবেন।
তিনি বলেন, ‘চলতি বছরেই আমাদের ৪০ হাজার পেশাদার কর্মী সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন।’
মেটাও জানিয়েছে, ‘তাদের ৪০ হাজার কর্মী অনলাইন সুরক্ষার বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে থেকে তারা দুই হাজার কোটি ডলার এর জন্য খরচ করেছে।’
মেটার কাছেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিশোর ও সদ্য যুবকদের কাছে অচেনা জায়গা থেকে কোনো বার্তা পাঠানো হলে, তা ব্লক করা হবে।
এছাড়া ইনস্টা ও ফেসবুকে কিশোরদের কনটেন্টের ওপর আরো কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
img

পুতিনের বয়স কমানোর ইচ্ছা: কী বলছেন চিকিৎসকেরা

প্রকাশিত :  ১০:১৬, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর বৃদ্ধ থাকতে চান না। বার্ধক্যকে থামিয়ে দিতে চান। বরং বয়সের কাঁটা ঘুরবে বিপরীতে। বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখার এই যে অদম্য বাসনা এর থেকেই ‘অ্যান্টি-এজিং’ নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়েই। তবে শরীরে বয়সের ছাপ লুকিয়ে রাখার ‘অ্যান্টি-এজিং থেরাপি’ এক রকম, আবার একেবারে বুড়ো থেকে যুবক হয়ে ওঠার পদ্ধতি অন্যরকম।

বার্ধক্যের দোরগোড়ায় আসামাত্রই জীবনের চাকা ঘুরিয়ে পেছন দিকে চলবে। অর্থাৎ ফিরে যাওয়া যাবে যৌবনে। ক্ষমতা ও শক্তিকে বশে রাখতে বার্ধক্যের সঙ্গেই যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

বিজ্ঞানী-চিকিৎসকদের ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে তিনি নির্দেশ জারি করেছেন— যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুবক হওয়ার ওষুধ আবিষ্কার করতে হবে। জলে নেমে হোক, পাতাল ফুঁড়ে হোক অথবা পৃথিবীর আনাচেকানাচে ঘুরে, বয়স কমানোর কৌশল খুঁজে বার করতেই হবে। এক কথায়— অমর হওয়ার বাসনাই প্রকাশ করেছেন পুতিন।

এ ক্ষেত্রে গোটা ব্যাপারটাই হলো প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কারসাজি করা। তাতে একদিকে যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু প্রক্রিয়া করতে হবে, তেমনই চারপাশের বাস্তুতন্ত্রেও অনেক বদল আসবে।

এখন কথা হলো বার্ধক্যকে কি সত্যিই থামিয়ে দেওয়া সম্ভব? এই বিষয়ে স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন নিয়ে গবেষণারত মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, আজ না হলেও আগামী দিনে বয়সের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি যে আবিষ্কার হবে না, তা বলা যায় না। স্টেম কোষ প্রতিস্থাপন এবং ক্লোনিং— এই দুই প্রক্রিয়ায় অসাধ্য সাধন সম্ভব। যদিও তা পুরোপুরি অনৈতিক ও প্রকৃতির নিয়মবিরুদ্ধ।