img

বিশ্ব ইজতেমায় চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান

প্রকাশিত :  ০৫:৩৮, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৪২, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশ্ব ইজতেমায় চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান চলছে। আগামীকাল আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে এ পর্বের। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের ঈমান (বিশ্বাস), আমল (কর্ম) ও আখলাককে (চরিত্র) পরিপূর্ণ শুদ্ধভাবে গড়ে তুলতে এই বয়ান শুনছেন ইজতেমার শীর্ষ আলেম ও মুরুব্বিরা। এদিকে বার্ধক্যজনিত কারণে তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে ময়দানে।

ইজতেমা সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন হবে।

আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান করা হবে। আশা করা হচ্ছে, তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের পরামর্শের ভিত্তিতে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শনিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান, তার বয়ান বাংলায় তরজমা (অনুবাদ) করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।

বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান। বাদ আসর যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।

সকালে বয়ানে ওলামায়ে কেরাম বলেন, ‘পরকালের (আখেরাত) চিরস্থায়ী সুখ-শান্তির জন্য আমাদের সবাইকে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত (পরিশ্রম) করতে হবে। ঈমান-আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব (সফল) হতে পারবে না।’

বয়ানে আরও বলা হয়, ‘দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়্যাতি মেহনত। এই মেহনত খুলুসিয়্যাত (আন্তরিকতা) ও আজমতের (সম্মান) সঙ্গে যারা করবে তাদের যেকোনো আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।’

ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

img

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৪, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

কেউ যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে অথবা সুন্নত ও নফল নামাজের কোনও রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়তে ভুলে যায়, তাহলে তাকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে যদি কেউ ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতেহার জায়গায় অন্য সূরা পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।

সূরা ফাতিহার ব্যাখ্যা:

সূরা ফাতিহা ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি সাতটি আয়াত সম্বলিত এবং আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রার্থনা এবং তাঁর সাহায্য প্রাপ্তির জন্য আবেদনের একটি সমন্বিত দোয়া। সূরা ফাতিহা মুমিনদের জন্য পথনির্দেশক এবং হৃদয়ে শান্তি প্রদানকারী। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর সর্বশক্তিমত্তা, তাঁর দয়ালুতা, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাঁর সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা।

বিশেষভাবে, এই সূরা পঠনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা ও আবেদন জানাতে পারি, যাতে তিনি আমাদের সোজা পথ দেখান এবং আমাদেরকে সুপথে পরিচালিত করেন। এটি নামাজের প্রতিটি রাক'আতে পাঠ করতে হয়, যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূরা ফাতিহার ফজিলত:

সূরা ফাতিহার অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এটি পঠনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয় এবং মন ও হৃদয়ে শান্তি আসে। কিছু বিশেষ ফজিলত:

প্রতিদিনের নামাজে প্রয়োজনীয়তা: সূরা ফাতিহা প্রতিদিনের নামাজে অন্তর্ভুক্ত, তাই এটি মুসলিম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গুনাহ মাফ করা: সূরা ফাতিহা অত্যন্ত বরকতময়, এবং এর দ্বারা মানুষের গুনাহ মাফ হতে পারে।

মনোযোগী হতে সহায়ক: এটি পঠনে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আরও কাছাকাছি পৌঁছায়।

চিকিৎসা: কিছু হাদিসে বলা হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা একটি শক্তিশালী চিকিৎসা হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষত শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য।

সূরা ফাতিহা অর্থ:

সূরা ফাতিহা, যা "আল-কিতাবের শুরু" হিসেবে পরিচিত, সমস্ত সূরাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সূরা, যা সূচনা ও প্রারম্ভের প্রতীক। এটি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের প্রতীক। এই সূরায় আল্লাহর মহিমা ও তাঁর পথের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।