img

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন! মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

প্রকাশিত :  ০৯:৪৮, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন! মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

আজকাল রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, বিমানবন্দর বা শপিং মলে ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক জায়গা পাসওয়ার্ড ছাড়াই ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করতে পারা যায়। এই ধরনের ওয়াইফাইকে পাবলিক ওয়াইফাই বলা হয়। হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্ক্রোল করা বা বন্ধুদের সাথে গেম খেলে সময় কাটাচ্ছেন। ইন্টারনেট–জালিয়াতি, তথ্য চুরি, সাইবার ক্রাইম—এগুলো এখন আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাকেও হুমকিতে ফেলছে। তাই ইন্টারনেট ও সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করতে গেলে কিছু কাজ করতে নিষেধ করেন।

পাবলিক WiFi হল এমন একটি মাধ্যম যা দিয়ে হ্যাকাররা খুব সহজেই ঢুকতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ম্যালওয়ার বা ভাইরাস ঢুকতে পারে ফোনে। যেগুলি মূলত স্পাইওয়ার হিসেবে কাজ করে।

বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে বিনামূল্যে WiFi এর সুবিধা দেওয়া হয়। রেলস্টেশন থেকে শুরু করে রেস্তরাঁ অথবা বিভিন্ন রাস্তায়। এগুলিকে মূলত পাবলিক ওয়াইফাই বলা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই WiFi ব্যবহার করলে ভয়াবহ বিপদ হতে পারে। চুরি হতে পারে আপনার ফোনের বিভিন্ন তথ্য।

কী বিপদ হতে পারে?

পাবলিক WiFi হল এমন একটি মাধ্যম যা দিয়ে হ্যাকাররা খুব সহজেই ঢুকতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ম্যালওয়ার বা ভাইরাস ঢুকতে পারে ফোনে। যেগুলি মূলত স্পাইওয়ার হিসেবে কাজ করে। ফোন, ল্যাপটপের ভিতরে ঢুকে যাবতীয় তথ্য হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠাতে থাকে। এবং আপনি জানতেই পারবেন না। সেকারণে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়।

সুরাহা মিলবে কীভাবে?

তবে এক্ষেত্রে একটা উপায় রয়েছে। যদি কোনও ব্যবহারকারীকে কাজের প্রয়োজনে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করতেই হয় তাহলে ফোনে একটি অ্য়ান্টি ভাইরাস বা অ্য়ান্টি ম্যালওয়ার ব্যবহার করুন। এর পাশাপাশি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন, UPI পিন সহ আর্থিক লেনদেন করবেন না। এবং পাবলিক ওয়াইফাই ব্যাবহারের ক্ষেত্রে একটি ফোন নির্দিষ্ট রাখুন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর

img

স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৪:৪৪, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২৮ এপ্রিল) তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক গত ২৫ মার্চ Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator In Bangladesh শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় Starlink Services Bangladesh Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator License প্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার ২য় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবীতে পরিণত হয়েছিল।

‘পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাঁওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে,’ বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলো মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে,’ বলেন তিনি।

তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেল ভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্টার্লিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।