img

মস্তিষ্কে তারবিহীন চিপ বসালো নিউরালিংক

প্রকাশিত :  ১৫:১১, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:২৮, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মস্তিষ্কে তারবিহীন চিপ বসালো নিউরালিংক

ইলন মাস্কের কম্পানিসহ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর মতো বৈপ্লবিক কাজের চেষ্টা করছিল। এবার নানা বিস্ময়কর প্রকল্পের জন্য পরিচিত ইলন মাস্ক বললেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান সফলভাবে একজন মানুষের মগজে চিপ বসিয়েছে। তারবিহীন অর্থাৎ ওয়্যারলেস এই চিপের ভালো কার্যকারিতা দেখা গেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

 ২৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির মস্তিষ্কে সফলভাবে এই চিপ বসানো হয়েছে। যদিও গোপনীয়তার কারণে ঐ ব্যক্তির নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২৯ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ মাস্ক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এক্স পোস্টে মাস্ক জানান, ‘প্রাথমিক ফল বেশ ভালো। রোগীর নিউরন স্পাইক করছে বা নার্ভ সাড়া দিচ্ছে। রোগী সেরে উঠছেন’।

এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এটিকে টেলিথেরাপি বলা যেতে পারে। কারণ মস্তিষ্কে তারবিহীন এ চিপটি বসানোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার ফোন বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে তাকে হাত-পা কিছুই ব্যবহার করতে হবে না। শুধু চিন্তা করলেই চলবে’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউরালিংকে মানুষের মস্তিষ্কে কয়েক সদৃশ এই চিপ বসানোর অনুমতি দিয়েছিল। মানুষের ওপর সফলভাবে চিপ বসানোর আগে বানরের মস্তিষ্কে চিপ বসানো হয়। তবে এই পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নিউরোপ্রযুক্তি কোম্পানি ব্ল্যাকরক নিউরোটেক মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসায়। নিউরোলিং বাদে আরও কয়েকটি কোম্পানি এমন চিপ বানানোর কাজে নিযুক্ত রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

img

রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

প্রকাশিত :  ১২:০৩, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

রসায়নে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন জন। তারা হলেন- ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।

এদের মধ্যে ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অপরদিকে ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার যুক্তরাজ্যের নাগরিক।

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, ‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’-এর জন্য ডেভিড বেকারকে, ‘প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন’-র জন্য ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পারকে যৌথভাবে এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ প্রোটিনকে প্রাধান্য দিয়ে এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

নোবেল পাওয়া ডেভিড বেকার একেবারে নতুন ধরনের প্রোটিন তৈরি করেছেন। যা অনেকটা অসম্ভব বিষয় ছিল। অপরদিকে ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন যা দিয়ে ৫০ বছরের পুরোনো ‘প্রোটিনের জটিল কাঠামো অনুমান করার’ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এবারের নোবেল বিজয়ীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গণনার মাধ্যমে প্রোটিনের পুরো বিষয়টি খোলাসা করেছেন। যা সব রসায়নবিদের স্বপ্ন ছিল। আর এই স্বপ্ন এখন সত্যি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে।  

১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।