img

যুবককে বউ খুঁজে দিলো এআই

প্রকাশিত :  ০৮:১৮, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২৫, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুবককে বউ খুঁজে দিলো এআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় বউ খুঁজে পেয়েছেন এক যুবক। সম্প্রতি এক যুবকের এমন পোস্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে হইচই। রাশিয়ান নাগরিক আলেকজান্ডার জাদান এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করে নিজের বিয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

সেই পোস্টে বলা হয়, ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারে অ্যাকাউন্টটি চালনার জন্য তিনি চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়েছিলেন। চ্যাটজিপিটিই আলেকজান্ডারকে ৫০০০ বান্ধবী খুঁজে দিয়েছে।

আলেকজান্ডার লিখেছেন, ‘আমি ডেটিং অ্যাপে এক নারীকে প্রেমপ্রস্তাব দিই। প্রায় এক বছর ধরে চ্যাটজিপিটি আমার হয়ে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে। আমার মনের মানুষটি খুঁজতে চ্যাটজিপিটি প্রায় ৫৩২৯ জন তরুণীর সঙ্গে আমার ডেটের ব্যবস্থা করে। কখনও কখনও একদিনে ৬ জন তরুণীর সঙ্গে আমার ডেট নিশ্চিত করে ফেলত সে। তবে এরই মাঝে আমি আমার মনের মানুষ ক্যাটরিনাকে খুঁজে পেয়েছি। খানিকটা চ্যাটজিপিটির সাহায্যে।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে আমার ভীষণ সমস্যা হতো। প্রোগ্রামটি আমায় ঠিকঠাক বুঝতে পারত না। তার পরে বেশ কিছু দিন আমি ওকে প্রশিক্ষণ দিই। তার পর চমৎকারভাবে, আমার মতো করেই ও তরুণীদের সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করে। আমার ঠিক কেমন নারী চাই, সেই সমস্ত ফিল্টারও আমি চ্যাটজিপিটিতে রেখেছিলাম। আমার মনের মতো নারীদের ডেটে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত সে। ক্যাটরিনাও দীর্ঘ দিন আমি ভেবে চ্যাটজিপিটির সঙ্গেই কথা বলেছে। যদিও বিয়ের দিনও আমি সেই কথা ওকে জানাইনি। বিয়ের পরে বউকে সবকিছু জানিয়েছি।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর

img

স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৪:৪৪, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২৮ এপ্রিল) তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক গত ২৫ মার্চ Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator In Bangladesh শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় Starlink Services Bangladesh Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator License প্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার ২য় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবীতে পরিণত হয়েছিল।

‘পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাঁওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে,’ বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলো মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে,’ বলেন তিনি।

তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেল ভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্টার্লিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।