img

২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা জমার নির্দেশ

প্রকাশিত :  ১৩:৪১, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা জমার নির্দেশ

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের বাকি টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। যারা ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করেছে তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় তাবু গ্রহণ, মোয়াল্লেম গ্রহণ, বাড়ি বা হোটেল ভাড়া, পরিবহণ চুক্তি প্রভৃতি আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এ কারণে ২০২৪ সালে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদেরকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিবন্ধনের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধন শেষে এখনো কোটা খালি রয়েছে ৪৪ হাজার ৪৩টি। এ বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। 

এর মধ্যে সরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ২৬০ জন। বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। সবমিলিয়ে মোট নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। বাকি ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা ফেরত যাবে।

এবার হজের নিবন্ধন শুরু হয় ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় প্রথম দফায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতেও হজ নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় শেষ দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।

img

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৪, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

কেউ যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে অথবা সুন্নত ও নফল নামাজের কোনও রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়তে ভুলে যায়, তাহলে তাকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে যদি কেউ ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতেহার জায়গায় অন্য সূরা পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।

সূরা ফাতিহার ব্যাখ্যা:

সূরা ফাতিহা ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি সাতটি আয়াত সম্বলিত এবং আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রার্থনা এবং তাঁর সাহায্য প্রাপ্তির জন্য আবেদনের একটি সমন্বিত দোয়া। সূরা ফাতিহা মুমিনদের জন্য পথনির্দেশক এবং হৃদয়ে শান্তি প্রদানকারী। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর সর্বশক্তিমত্তা, তাঁর দয়ালুতা, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাঁর সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা।

বিশেষভাবে, এই সূরা পঠনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা ও আবেদন জানাতে পারি, যাতে তিনি আমাদের সোজা পথ দেখান এবং আমাদেরকে সুপথে পরিচালিত করেন। এটি নামাজের প্রতিটি রাক'আতে পাঠ করতে হয়, যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূরা ফাতিহার ফজিলত:

সূরা ফাতিহার অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এটি পঠনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয় এবং মন ও হৃদয়ে শান্তি আসে। কিছু বিশেষ ফজিলত:

প্রতিদিনের নামাজে প্রয়োজনীয়তা: সূরা ফাতিহা প্রতিদিনের নামাজে অন্তর্ভুক্ত, তাই এটি মুসলিম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গুনাহ মাফ করা: সূরা ফাতিহা অত্যন্ত বরকতময়, এবং এর দ্বারা মানুষের গুনাহ মাফ হতে পারে।

মনোযোগী হতে সহায়ক: এটি পঠনে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আরও কাছাকাছি পৌঁছায়।

চিকিৎসা: কিছু হাদিসে বলা হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা একটি শক্তিশালী চিকিৎসা হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষত শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য।

সূরা ফাতিহা অর্থ:

সূরা ফাতিহা, যা "আল-কিতাবের শুরু" হিসেবে পরিচিত, সমস্ত সূরাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সূরা, যা সূচনা ও প্রারম্ভের প্রতীক। এটি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের প্রতীক। এই সূরায় আল্লাহর মহিমা ও তাঁর পথের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।