img

অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ কি? কেন পালন করা হয়?

প্রকাশিত :  ০৫:৫৯, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ কি? কেন পালন করা হয়?
অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইন পালন করার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে অনেক দেশে। ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করার পর থেকে সপ্তাহ জুড়ে পালন করা হয় অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইন ডে।

অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনের প্রথম দিনে পালিত হয় স্ল্যাপ ডে (থাপ্পড় দিবস!)। এই দিনটি সেই সব লোকদের মধ্যে বিশেষভাবে বিখ্যাত যারা সম্প্রতি ব্রেকআপের মধ্য দিয়ে গেছেন। 

তবে এই দিনে আপনার প্রতারক সঙ্গীকে সরাসরি চড় মারবেন তা কিন্তু নয়। স্ল্যাপ ডে মূলত আপেক্ষিক। এখানে থাপ্পড়ের অর্থ আপনি আপনার কথা বা সাফল্য দিয়ে সঠিক সময়ে তাকে বার্তা দিন। 

কেন স্ল্যাপ ডে পালিত হয়?

ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহে দম্পতিরা যেভাবে একে অপরের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ করেন। একইভাবে যারা তাদের সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট তারা অ্যান্টি ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ উদযাপন করেন। অ্যান্টি ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ শুরু হয় স্ল্যাপ ডে দিয়ে। 

প্রতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি স্ল্যাপ ডে উদযাপনের পেছনের কারণটি আকর্ষণীয়। যারা প্রেমে প্রতারিত হয়েছেন তাদের জন্য এই দিনটি বিশেষ। থাপ্পড় দিবস উদযাপনের পেছনের কারণ হলো আপনি আপনার সেই সঙ্গীকে বলতে পারেন যে আপনি তার প্রতি রাগান্বিত।

একটি কড়া থাপ্পড় মেরে জীবন থেকে পুরনো বাজে ও তিক্ত স্মৃতিগুলোকে ফেলে দিতেই স্ল্যাপ ডে। এই দিন থেকে সুখী জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। 

img

ঘরের সাজে পূজার আমেজ

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গতিনাশিনীর আগমনে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ধুয়ে-মুছে সাফসুতরো হয়ে ঘরও সেজে উঠুক। প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। ফুল, লতাপাতা, গাছের ডাল, ছোট-বড় ইনডোর প্লান্ট ভিন্নতা যোগ করবে। এ ছাড়া ঘরে থাকা নানা অনুষঙ্গও ব্যবহার করুন।

নান্দনিক হয়ে উঠবে ঘর। তবে গৃহসজ্জার আগে ঘরের রং, আলো, আকার ভাবনায় রেখে ইন্টেরিয়র পরিকল্পনা করতে হবে।

ঘরের আকার

প্রথমেই নজর দিতে হবে ঘরের পরিধির দিকে। পরিকল্পনা করতে হবে সে অনুযায়ী।

দেয়ালের রং, প্রাকৃতিক আলোর প্রবেশ গৃহসজ্জায় বেশ জরুরি। ঘর ছোট হলে সাজসজ্জা বেশি ভারী বা জটিল না করাই ভালো। উজ্জ্বল রং ও হালকা সাজের মাধ্যমে সাজালে ছোট ঘর বড় দেখাবে। দেয়ালে গাঢ় রং ব্যবহার করলে বেশি আলো প্রয়োজন হয়।

সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ রং বেছে নিন। ঘরের পরিবেশ প্রাণবন্ত লাগবে। দিনে প্রাকৃতিক আলোর আনাগোনার সঙ্গে মৃদু আলো ও ক্যান্ডেললাইট ব্যবহার করুন। এতে বিশেষ আবহ তৈরি হবে। রাতে অবশ্যই উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করুন।

ফুল-পাতায় সজ্জা

বসার ঘরের টিপয়ের ওপর, কোনায় রাখা টুলের ওপর কাঁসা-পিতলের থালায় কলাপাতা পেতে তাতে শিউলি, জবা, অলকানন্দা, কাঠগোলাপ কিংবা জুঁই রেখে দিন। ফুলের সুবাস বলে দেবে দিনগুলো বিশেষ। ফুলদানিতে লম্বা ধরনের কোনো পাতার সমন্বয়ে সাজাতে পারেন রজনীগন্ধা, গোলাপ, লিলি, জারবেরা, অর্কিড। সন্ধ্যার আবহে একটা মাটির পাত্রে পানি ঢেলে গাঁদা ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। তার ওপর বসিয়ে দিন ভাসমান মোম বা মাটির প্রদীপ। গৃহে উত্সবমুখর পরিবেশ ফুটে উঠবে।

শোলার ফুল পাখি

বিভিন্ন রঙের শোলার তৈরি ফুল পাখি বা মালা ঝুলিয়ে দিন মূল দরজাসহ অন্যান্য দরজায়। বাসায় আসা অতিথিদের নজর কাড়বে। মূল দরজার পাশে পোড়ামাটির প্রদীপের মতো শোলার কাস্তা তৈরি করে তাতে মোমবাতি বা প্রদীপ রাখুন। সুন্দর আলো ছড়াবে।  

আলপনা বা রঙ্গোলি

দরজার সামনের মেঝেতে আলপনা কিংবা রংবেরঙের রঙ্গোলি তৈরি করতে পারেন। এর ফাঁকে ফাঁকে বসাতে পারেন মাটির প্রদীপ। ঘরে আলো-আঁধারীর শৈল্পিক আবহ যোগ হবে।

ইনডোর প্লান্ট ও লতাপাতা

স্কাইডার প্লান্ট, পোটাসসহ অনেক ইনডোর প্লান্ট কম আলোতেও বেড়ে উঠতে পারে। এই ইনডোর প্লান্টগুলো ঘরে ঠাঁই দিতে পারেন। পিস লিলির মতো প্লান্ট ঘরে শান্তি ও সৌন্দর্য এনে দেবে। লতাপাতা ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ ঘরের কোণে সুন্দর দেখাবে। ভাইনস দিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হবে। বড় গাছের পাতা বা গাছ ব্যবহার করে একটি জঙ্গল বা সবুজ বন তৈরি করতে পারেন। কাঠের তৈরি কিছু ডিজাইন বা মূর্তি ব্যাক ড্রপে যুক্ত করলে ঐতিহ্যবাহী ভাব ফুটে উঠবে।

পরিবার ও ব্যক্তিত্ব

পরিবারের সবার পছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ঘর সাজানো উচিত। এতে সবার মাঝে পারিবারিক ঐক্য বাড়বে। যে ঘরে যিনি থাকেন তাঁর স্টাইল ও পছন্দের উপাদান ব্যবহার করুন। পরিবারের পুরনো সামগ্রী বা শিল্পকর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—দিদিমার বানানো হাতের কাজ বা ঠাকুরমার আঁকা পুরনো ছবি। পূজার অন্দরসজ্জায় ব্যক্তিগত পছন্দ ও পরিবারের ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিন।