img

৪ বছরের মধ্যে গ্যাসের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসবে

প্রকাশিত :  ০৯:৪২, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০১, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

৪ বছরের মধ্যে গ্যাসের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসবে

আগামী চার বছরের মধ্যে দেশের সব গ্যাসের গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী এই বিতরণ কম্পানির প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ৫০ হাজার গ্রাহককে ইতিমধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। আরো দেড় লাখ গ্রাহককে অচিরেই প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সেই পরিকল্পনা নিচ্ছে জালালাবাদ। ধাপে ধাপে সিলেট অঞ্চলের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে জালালাবাদের সব গ্রাহকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে আপনারা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, প্রিপেইড মিটারের ফলে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে এবং গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে। এখানে প্রিপেইড মিটারের জন্য একটি ডাটা সেন্টার চালু করা হয়েছে। গ্রাহকরা কখন কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছেন এই ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে এর একটা ধারণা পাওয়া যাবে। কেউ হিসাবের বাইরে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে সেটাও এর মাধ্যমে বোঝা যাবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে। অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছি বিতরণ কম্পানিগুলোকে। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় গ্যাসের ৩০ লাখ মিটার স্থাপন করবে।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মোট গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ২১ হাজার ৪৬১।

এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪। ইতিমধ্যে ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। আরো দেড় লাখ মিটার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। 

প্রকল্পের কর্মকর্তা বলছেন, ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টম্বরে। মাঠ পর্যায়ে মিটার স্থাপন কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য, কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সিলেটের কৈলাসটিলা ৮ নম্বর কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের তিন দিনের এই সিলেট সফরে সিলেট অঞ্চলের প্রত্যেকটি গ্যাস ফিল্ড ও প্রসেস প্লান্ট পরিদর্শন, মডেল প্যাট্রল পাম্প উদ্বোধন, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধনসহ একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

মৌলভীবাজারে বসতবাড়িতে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড, দুই বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৮:১২, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৩৮, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শ্বাসরোধে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে শহরতলীর মোস্তফাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে‌ন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সেই যুবলীগ নেতার নাম শেখ রুমেল আহমদ। তিনি মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।

অগ্নিকাণ্ডে শ্বাসরোধ হয়ে মৃতরা হলেন- সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মা মেহেরুন্নেসা (৭০) ও চাচি ফুলেছা বেগম (৬৫)।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার যীশু তালুকদার বলেন, রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি বাড়িতে থাকা মেহেরুন্নেসা ও ফুলেছা বেগম আগুনের ধোঁয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্য চিকিৎসক তাদেরকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, ডুপ্লেক্স বাড়িটি বিভিন্ন জাতের বোর্ড দিয়ে ডেকোরেশন করা ছিল। বৈঠকখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।


সিলেটের খবর এর আরও খবর