img

ব্রিটেনের সব স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত :  ০৭:৩৭, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৫২, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 ব্রিটেনের সব স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ

ব্রিটেনের সব স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিওয় এই ঘোষণা করেন তিনি। খবর বিবিসির।

মোবাইল ফোনের ওপরে বিধিনিষেধের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্কুলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ফোন। ব্যাহত হয় পঠনপাঠন। সরকারি নির্দেশিকায় বিষয়টিতে নজরদারির জন্য প্রধানশিক্ষকের ওপরে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে নানা উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে ফোন না নিয়ে আসে তা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আবার কেউ ফোন আনলে তা যাতে লকারে সুরক্ষিতভাবে রাখা যায়, ওই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে, ক্লাস চলাকালীন যেন কেউ যাতে ফোন ব্যবহার না করে কিংবা ফোনের আওয়াজে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়। শিক্ষামন্ত্রী স্কুলে পড়াশোনার ধারাবাহিকতার ওপরে জোর দিয়েছেন।

মোবাইল ফোন কিভাবে কাজে বিঘ্ন ঘটায়, তা বোঝাতে ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সুনাক। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি যখনই কিছু বলতে যাচ্ছেন, বার বার বেজে উঠছে ফোন। সুনাক বলেছেন, 'প্রায় এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে, ফোনের জন্য কিভাবে তাদের পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটে। অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই ফোনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশের উন্নতি ঘটেছে। এবার নতুন করে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেয়া হলো। যাতে সব স্কুলই এই বিষয়টি মেনে চলে। ছাত্রছাত্রীদের যে শিক্ষা প্রয়োজন, তা যেন সকলে পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই আমরা।'

তবে সুনাকের এই ভিডিওর সমালোচনা করেছেন অনেকেই। কারো কারো মন্তব্য, 'খুবই দুর্বল অভিনয় দক্ষতা।' বিরোধী লেবার পার্টিও ওই ভিডিওকে ব্যঙ্গ করে একই ধরনের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুনক কিছু বলতে যাচ্ছেন কিন্তু বার বার ফোনে নোটিফিকেশন আসছে। কখনো ব্রিটেনে আর্থিক মন্দার খবর, আবার কখনো অভিবাসন কিংবা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যা সংক্রান্ত বার্তাও আসছে ফোনে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

পশ্চিম লন্ডনে ১০ দিনেরও বেশি সময় বাথটাবে পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ১৪:১২, ১৫ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:২৫, ১৫ মার্চ ২০২৫

পশ্চিম লন্ডনের ব্রেন্টফোর্ডে এক ব্যক্তি ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বাথটাবে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ৪৬ বছর বয়সী জেসন লায়ন্সের মরদেহ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিম লন্ডনের একটি বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি মৃত্যুর মাত্র ১১ দিন আগে ব্রিক্সটন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, তার শরীরের নিচে একটি আয়না ও রূপালি ফয়েলের মধ্যে ‘পোড়া ছাইয়ের মতো’ একটি অজানা পদার্থ পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্যের কারাগার ও প্রবেশন ওম্বুডসম্যান (PPO) এই ঘটনা তদন্ত করে, যারা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বর্তমান ও সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে।

জেসন লায়ন্স ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে এইচএমপি ব্রিক্সটন থেকে মুক্তি পান এবং ২৬ সেপ্টেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তবে তার মরদেহ গুরুতরভাবে পচে যাওয়ায় ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে এক করোনার (ময়নাতদন্তকারী) জানান, তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।

PPO-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লায়ন্স অতীতে মাদক সেবনের ইতিহাস থাকলেও তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি মাদকমুক্ত এবং কোনো সহায়তা প্রয়োজন নেই।

এছাড়া, তিনি উদ্বেগ ও হতাশায় ভুগছিলেন, তবে তার কারাগার থেকে মুক্তির আগে তার আত্মহত্যার ঝুঁকি বা উচ্চতর বিপদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে PPO জানায়।

কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল না

PPO প্রধান অ্যাড্রিয়ান উশার জানান, এই ঘটনায় কারাগার বা প্রবেশন কর্মকর্তাদের কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে মৃত্যুর পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’।

তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত, তিনি ১০ দিনেরও বেশি সময় আগে মারা গিয়েছিলেন, তারপর তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনা কারাগার ও প্রবেশন বিভাগের কর্মীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা যে, যারা মুক্তির পর সহায়তা নিতে অস্বীকার করেন বা পুনর্বাসন সেবায় অংশ নেন না, তারা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।”

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর