দর্শকের দৃষ্টি কাড়তে এবার ঝুলে ঝুলে ছবির প্রচারণা করলেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। একের পর এক ছবি মুক্তি পেলেও ফলাফল আশাব্যঞ্জক নয়। তাই রাজত্ব ফিরে পেতে মরিয়া তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ”বড়ে মিয়া, ছোটে মিয়া” ছবির প্রচারে লখনউয়ে পৌঁছেছিলেন অক্ষয় ও টাইগার। শ্রফ। সেখানে অসংখ্য ভক্তর সামনে দড়িতে ঝুলে স্টান্ট দেখান বলিউডের এই দুই অভিনেতা।
অক্ষয়-টাইগারের এমন এন্ট্রি দেখে হইচই পড়ে গিয়েছিল গোটা এলাকায়। এরকম অভিনব প্রচারের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করলেন, তাদের নতুন ছবি ‘বড়ে মিয়াঁ, ছোটে মিয়াঁ’ কতটা অ্যাকশন প্যাকড হতে চলেছে।
১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’। ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় সে ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন ও গোবিন্দ। নায়িকা হিসেবে ছিলেন রাবিনা ট্যান্ডন ও রামিয়া কৃষ্ণ। এবার ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ হয়ে আসছেন অক্ষয়-টাইগার। ছবিটি এ বছর-ই মুক্তি পাবে।
ঢাকায় একদল যুবকের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান, যিনি সিদ্দিক নামেই বেশি পরিচিত। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দুপুরের পর থেকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক সিদ্দিককে দুপাশ থেকে ধরে টানা হেঁচড়া করছেন। এসময় সিদ্দিকে পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়। ওই ভিডিওতে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে আমরা পুলিশে হস্তান্তর করছি।’
অভিনেতা সিদ্দিককে রমনা থানায় নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন থানাটির এসআই জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ঘণ্টাখানেক আগে (বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ) সিদ্দিককে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি বর্তমানে রমনা থানাতেই আছেন।’
সিদ্দিককে কোন মামলায় গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে জানা যায়নি।
বিষয়টি জানতে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ঘনিষ্ঠরাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না।
অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকে ‘কাউয়া সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান তিনি।
‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে টিভি দর্শকদের নজর কাড়েন সিদ্দিক। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘মাইক’ তাকে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে সিদ্দিককে।