সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯৭ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
প্রথম ধাপে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের ১৮ জেলার এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। এসব প্রার্থী পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় রোস্টারভুক্ত ভিসা প্রত্যাশীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি
প্রকাশিত :
০৬:৩৮, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫০, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় পাস করা রোস্টারভুক্ত ডিলিট হওয়া (ইপিএস) কর্মীদের পুনঃরোস্টার ও সব রোস্টারভুক্তকে ভিসা ইস্যু করার লক্ষ্যে ৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইপিএস কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় রোস্টারভুক্ত সকল ভিসাপ্রত্যাশী’র ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করেন তারা।
এ সম্পর্কে রোস্টারভুক্ত ভিসাপ্রত্যাশী'রা বলেন, ‘ভাষা শিক্ষার দুই বছর পার হয়ে গেলে আমাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকশ লোক ভাষা শিখেছেন, অথচ এখন মেয়াদ শেষ। এত কষ্ট করে এত টাকা খরচ করে আমরা ভাষা শিখেছি, সেটা কি বিফলে যাবে? আমরা আর কত অপেক্ষা করবো?
ইপিএস কর্মীদের চলমান সংকট নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়:
১. ২০২২ সাল থেকে শুরু করে যে সকল কর্মী ডিলেট হয়েছে বা হবে সে সকল কর্মীদের রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পূণঃরোস্টার বাধ্যতামূলক করতে হবে। এবং ২০২৩ সাল সহ যে সকল ইপিএস কর্মী রোস্টারে আছে তাদের ডিলিট না হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
২. দুই বছরের ১০টি ইস্যুতে ৭-৮ বার কোম্পানির মালিকের কাছে আমাদের ফাইল বাধ্যতামূলক পৌছাতে হবে এবং সেটা সিরিয়াল/সাল/বছর অনুযায়ী হতে হবে। ৩. বর্তমান রোস্টারকৃত কর্মীদের মধ্যে ৭৫-৮৫ ভাগ কোরিয়াতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত সকল প্রকার
সার্কুলার বাণিজ্য বন্ধ রাখতে হবে। ৪. কোরিয়ার প্রত্যেক বানিজ্যিক জোনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক এজেন্ট নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে, কমপক্ষে (৪-৫ জন)। যারা
প্রত্যেক ইস্যুর পূর্বে তাদের নির্ধারিত জোনের আওতাভুক্ত কোম্পানিতে গিয়ে ইস্যুর জন্য কোম্পানির মালিকদের উৎসাহিত করবে। ৫. ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন মুক্ত বাংলাদেশ ইপিএস ঘোষণা করতে হবে। আর্থিক লেনদেনের কোন প্রমান পেলে বোয়েসেল/এইচ.আর.ডি সেই সকল চত্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃতীয় কোন পক্ষ থাকলে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৬. নতুন নতুন খাত/সেক্টর খুঁজে বের করে রোস্টারভুক্তদের মধ্য হতে সরকারি প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলে তাদের কোরিয়া যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ও কূটনৈতিক বিচক্ষন্তার মাধ্যমে সকল রোস্টারভূক্তদের কোরিয়ায় প্রবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে যাতে কোন কর্মী কোরিয়াতে প্রবেশ করতে না পারে সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৭. মৎস, কনস্ট্রাকশন, শিপ বিল্ডিং খাতের ভিসা ইস্যু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। রোস্টারকৃত কর্মীদের ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন অঞ্চল থেকে রোস্টারবিহীন কাউকে ভিসা ইস্যু করা যাবেনা, এই বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের অন্য খাত/সেক্টরে রোস্টার পরিবর্তন করে হলেও ভিসা ইস্যু নিশ্চিত করতে হবে।
৮. কোরিয়া প্রবাসী কোন কর্মী কোম্পানি পরিবর্তন বা রিলিজ নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির এজেন্ট স্ব-শরীরে কোম্পানিতে গিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
৯. বর্তমান সংকট নিরসনে দ্রুততার সহিত বোয়েসেলের কর্মকর্তাগন সফল না হলে ব্যার্থতার দ্বায় নিয়ে অতিশীগ্রই তাদের পদত্যাগ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপে বোয়েসেলকে বিচক্ষণ লোকদের সমন্বয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।