img

ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ : মারা গেল দগ্ধ ৫ শিশুই

প্রকাশিত :  ০৯:৩৯, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ : মারা গেল দগ্ধ ৫ শিশুই

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রুশমিদকা নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচ শিশুর মধ্যে কেউ আর বেঁচে রইল না।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। শিশু রুশমিদা ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১নং ক্লাস্টারের ৬নং কক্ষের বাসিন্দা আব্দুর শুক্করের মেয়ে।

বিস্ফোরণে তার শরীরের ৫২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এই নিয়ে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ দুইজন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল চিকিৎসাধীন। তারা হলেন, জোবায়দা (২২) ও আমেনা খাতুন (২৪)।

জানা গেছে, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ নয়জনের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবারই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে।  

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন। আহতদের প্রথমে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠালে ৫ শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

img

আওয়ামী লীগ নেতা এখন জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

আবু হানিফ নামে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগের  একটি ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকে ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের জন্য ছাপানো পোস্টারে মো. আবু হানিফের নাম এবং জামায়াতের পদবি লেখা থাকায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে বিষয়টি স্বীকার করেন আবু হানিফ।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আবু হানিফ তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তাকে জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি করা হয়।

আগে থেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে ইউপি সদস্য আবু হানিফ বলেন, আমি মেম্বার হওয়ার আগ থেকেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমলে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হতে বাধ্য হয়েছি।

আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলটির সাংগঠনিক নেতারা পলাতক থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। তবে সেটা শিগগিরই দেবো।

তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার বিজ্ঞ বলেন, যৌক্তিক কারণেই আবু হানিফকে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি করা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা উত্তরের জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, আবু হানিফ মেম্বার হওয়ার ১০ বছর আগে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ইউপি সদস্য হওয়ার পর জোর করে তাকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। মূলত তিনি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।