img

বেইলি রোডের আগুনে ৪৪ জন নিহত : আইজিপি

প্রকাশিত :  ০২:২৩, ০১ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০২:৪৩, ০১ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডের আগুনে ৪৪ জন নিহত : আইজিপি

বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে লাগা আগুনে মোট ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি)  চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। 

আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।

এর আগে রাত পৌনে ২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আগুনের ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। 

তিনি বলেছিলেন, আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত যেতে বলেছেন। এখানে এসে ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপরদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছেন। যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

img

আওয়ামী লীগ নেতা এখন জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

আবু হানিফ নামে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগের  একটি ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকে ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের জন্য ছাপানো পোস্টারে মো. আবু হানিফের নাম এবং জামায়াতের পদবি লেখা থাকায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে বিষয়টি স্বীকার করেন আবু হানিফ।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আবু হানিফ তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তাকে জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি করা হয়।

আগে থেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে ইউপি সদস্য আবু হানিফ বলেন, আমি মেম্বার হওয়ার আগ থেকেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমলে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হতে বাধ্য হয়েছি।

আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলটির সাংগঠনিক নেতারা পলাতক থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। তবে সেটা শিগগিরই দেবো।

তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার বিজ্ঞ বলেন, যৌক্তিক কারণেই আবু হানিফকে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি করা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা উত্তরের জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, আবু হানিফ মেম্বার হওয়ার ১০ বছর আগে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ইউপি সদস্য হওয়ার পর জোর করে তাকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। মূলত তিনি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।