img

কেট-উইলিয়ামের সম্পর্কের মধ্যে কে এই হানবুরি

প্রকাশিত :  ১৬:১৫, ১৯ মার্চ ২০২৪

কেট-উইলিয়ামের সম্পর্কের মধ্যে কে এই হানবুরি

ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স উইলিয়াম বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন একটি গুঞ্জন  ঘুরে বেড়াচ্ছিল চার বছর ধরেই। এ বছর সেই খবর নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি চিকিৎসাজনিত কারণে উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন লোক-চক্ষুর অন্তরালে থাকায় বিষয়টি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের মাঝখানে যে নামটি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন লেডি রোজ হানবুরি।

চার বছর আগে থেকেই একটি গুঞ্জন ছিল—বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স উইলিয়াম। তবে পুরোনো এই খবরটিই চলতি বছর হঠাৎ ডাল-পালা মেলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি চিকিৎসাজনিত কারণে উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন লোক-চক্ষুর অন্তরাল হওয়ার পরই বিষয়টি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। বিশ্বখ্যাত এই দম্পতির সুখের সংসারে যে নামটি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন—লেডি রোজ হানবুরি।

সোমবার গ্ল্যামারের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, দ্য সান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের জের ধরে রোজ হানবুরির উপাখ্যানটি শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চে। খবরটির বিষয়বস্তু ছিল এমন—কেট মিডলটন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু রোজ হানবুরির সঙ্গে মারাত্মক কলহে জড়িয়েছেন।

সে সময় একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছিল, উইলিয়ামের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরেই কেট এবং হানবুরির সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। উইলিয়াম অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন—হানবুরি এবং তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাতা স্বামী ডেভিড চলমন্ডেলির সঙ্গে কেটের সম্পর্ক যেন ভেঙে না যায়।

সেই সময়টিতেই আবার ব্রিটিশ কলামিস্ট জাইলস কোরান এক টুইটে হানবুরির সঙ্গে উইলিয়ামের সম্পর্কের ইঙ্গিত করেছিলেন। যদিও পরে ওই টুইটটি তিনি মুছে ফেলেছিলেন। টুইটে তিনি লিখেছিলেন—‘এই সম্পর্কের কথা সবাই জানে।’

এ বিষয়ে দ্য ডেইলি বিস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল জাইলসকে ওই টুইটটি মুছে ফেলতে ব্রিটিশ রাজ প্রাসাদ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে গত জানুয়ারিতে কেট মিডলটন চিকিৎসাজনিত কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে গেলে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বলা হচ্ছিল—কেট এবং উইলিয়াম দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছেন। আর এই বিচ্ছেদের নেপথ্যে ঘি ঢালছে হানবুরির সঙ্গে উইলিয়ামের অবৈধ সম্পর্ক।

এই তত্ত্বটি নতুন করে সামনে নিয়ে আসেন মার্কিন টিভি উপস্থাপক স্টিফেন কোলবার্ট। গত ১২ মার্চে অনুষ্ঠিত একটি শোতে তিনি বলেছিলেন, ‘কেট মিডলটনের লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা ব্রিটিশ রাজ্যে একটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।’

কেটের এমন আড়ালে থাকাকে তাঁর স্বামী এবং ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রাজা উইলিয়ামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছিলেন কোলবার্ট। এ সময় তিনি ২০১৯ সালের গুঞ্জনটিকে আবারও সামনে টেনে আনেন এবং জানান, সেই সময়ের ট্যাবলয়েডগুলো অনুমান করেছিল যে—পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে উইলিয়ামকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন কেট মিডলটন। তবে উইলিয়াম তখন সেই অভিযোগ হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গত ১৬ মার্চ রাজপ্রাসাদের নতুন গুঞ্জন নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে বিজনেস ইনসাইডারও। তবে সেই নিবন্ধে গুঞ্জনের বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে।

এদিকে গুঞ্জনের বিষয়ে মন্তব্য পাওয়া গেছে খোদ হানবুরির কাছ থেকেই। এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খোলা হানবুরি বলেছেন—‘গুঞ্জনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি পরিবারে লেডি রোজ হানবুরির জন্ম।

 ছবি: লেডি রোজ হানবুরি

 উইলিয়াম এবং কেটের ‘আমনার হল’ গ্রামের বাড়ির কাছেই ৪০ বছর বয়সী সাবেক মডেল রোজ হানবুরি এবং তাঁর ৬৩ বছর বয়সী স্বামী চলমন্ডেলি বসবাস করেন। ওই বাড়িটি কেট-উইলিয়াম দম্পতি প্রয়াত রানি এলিজাবেথের কাছ থেকে রাজকীয় উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন। হানবুরি এবং চলমন্ডেলি দম্পতিকে ব্রিটেনের প্রথম সারির অভিজাত দম্পতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেট-উইলিয়াম দম্পতির মতো তাঁদেরও দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রোজ হানবুরি। তাঁর দাদি লেডি রোজ ল্যাম্বার্ট ছিলেন বিয়ের সময় রানি এলিজাবেথের সহচরী। রাজপরিবারের সূত্রেই কেট মিডলটনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন হানবুরি। তাঁদের এই সম্পর্ক অটুট ছিল অন্তত ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত ।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

গার্ডিয়ানের নিবন্ধ

img

টিউলিপকে ডুবিয়েছে বাংলাদেশ-ব্রিটিশ রাজনীতির ‘আঁতাত’

প্রকাশিত :  ০৫:৩৯, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

টিউলিপ (সদ্য পদত্যাগ করা ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক) এমন দুটি জগতের অংশীদার হয়ে উঠেছিলেন, যেখানে আলাদা নিয়মে খেলা চলে। এখন তার পরিবারের সুনাম বাংলাদেশ ও ব্রিটেন—উভয় জায়গায়ই কলঙ্কিত। আর তিনি কোনো জায়গাতেই সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন বক্তব্য তুলে ধরেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক সলিল ত্রিপাঠী। তার মতে, বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব থেকেছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

সলিল লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। এ বিষয়টি সত্যিই অস্বাভাবিক। ড. ইউনূস বাংলাদেশে অর্থ পাচারকে ‘সরাসরি ডাকাতি’ বলে অভিহিত করে তা থেকে টিউলিপ সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এবং তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের সঙ্গে টিউলিপের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। বিপদে থাকা ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি চীন সফরে যাওয়া সরকারি প্রতিনিধিদলে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং মন্ত্রীদের আচরণবিধি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে বিষয়টি তদন্তের জন্য তুলে দেন এবং অবশেষে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন। টিউলিপ তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন।

চলতি মাসে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, টিউলিপ তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপারের কাছ থেকে লন্ডনের কেন্দ্রে একটি দুই-বেডরুমের ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন। টিউলিপ দাবি করেন, এই ফ্ল্যাটটি তিনি তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। তবে ম্যাগনাসকে তিনি জানান, এই বাড়িটি যে একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর উপহার ছিল, তা তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন।

টিউলিপ ২০১৮ সাল পর্যন্ত হ্যাম্পস্টেডে তার ছোট বোনের নামে থাকা আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। এই ফ্ল্যাটটিও হাসিনা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেক ব্যবসায়ী উপহার দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ীর ভাড়া করা বাড়িতে বসবাস করছেন। ২০১৫ সালে সিদ্দিক প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়ের পর তিনি তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে ব্রিটিশ আওয়ামী লীগের বাংলাদেশি সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে ২০১৩ সালের একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ছবিটিতে তাকে তার খালা হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা গেছে। ছবিটি বাংলাদেশে ১২ বিলিয়ন ডলারের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তোলা। টিউলিপ দাবি করেন, এটি স্রেফ একটি পারিবারিক সফর এবং তিনি সেখানে গিয়েছিলেন পর্যটক হিসেবে। ম্যাগনাস তার ব্যাখ্যা মেনে নিয়েছেন। তবে এখন টিউলিপ বাংলাদেশের ওই চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের মুখোমুখি।

এদিকে, লরি ম্যাগনাস লন্ডনে টিউলিপের বাড়িগুলোর বিষয়েও কোনো নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ পাননি এবং লেনদেনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেননি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তার কাছে তথ্য ছিল সীমিত এবং টিউলিপের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট ভাবমূর্তি ঝুঁকি সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারতেন। তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার টিউলিপের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে চাইলে করতে পারেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, টিউলিপ পদত্যাগে বাধ্য হন।

সলিল ত্রিপাঠী আরও লেখেন, তবে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হয়তো বিষয়গুলো ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু গত বছর আগস্টে হাসিনার ক্রমবর্ধমান অজনপ্রিয় শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। হাসিনা সরকারের আমলে গুম, নিখোঁজ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে যায়। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের ওপর দমনপীড়ন চালানো হয়। ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাসিনা তার পিতার খ্যাতি পুনঃস্থাপনে অনেক কাজ করলেও তার শাসনামলের এত বিরোধিতা সৃষ্টি হয় যে, তার পতনের পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়ি আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়।

সলিল লেখেন, মুজিবের অসম্মানের জন্য হাসিনা অনেকাংশেই দায়ী। তিনি নিজেকে সারা বিশ্বের কাছে ধর্মীয় মৌলবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় অবস্থানে থাকা একজন নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো একজন শক্তিশালী মিত্র পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, টিউলিপ বহু জায়গায়, যেমন—সিরিয়া ও গাজায় মানবাধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কথা বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের দ্রুত অবনতি হওয়া মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব থেকেছেন এবং বারবার বলেছেন যে তিনি কেবল ‘একজন ব্রিটিশ এমপি’। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্কই তার রাজনৈতিক জীবনে বিপদ ডেকে আনে।

বাংলাদেশে রেজিম পরিবর্তনের সুযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই প্রতিশোধ নিতে তাদের পূর্বসূরিদের বিরুদ্ধে মামলা এবং তদন্তের মাধ্যমে বিদ্বেষ চরিতার্থ করে থাকে। কিন্তু হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো (এবং টিউলিপ সম্পর্কে ওঠা প্রশ্নগুলো) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। রাজনীতিবিদদের অভিযোগ তোলার পেছনে যাই উদ্দেশ্য থাকুক না কেন, বাস্তবতা হলো—বিশ্বব্যাংক পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বাসযোগ্য দুর্নীতির অভিযোগের কারণে। এ ছাড়া হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের দমন করার ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।