প্রকাশিত :
০৪:৫০, ২০ মার্চ ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ০৫:২২, ২০ মার্চ ২০২৪
ব্রিটেনের অর্থায়নে দুই হাজার টনেরও বেশি খাদ্য সহায়তা জর্ডান হয়ে গাজায় পৌঁছেছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মধ্যে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। খবর আল-জাজিরার।
যুক্তরাজ্য বলছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। আরও সাহায্য পেতে সড়কপথে টেকসই মানবিক প্রবেশাধিকার প্রয়োজন বলে মনে করে তারা। খাদ্যের পাশাপাশি তাঁবু এবং কম্বলও ত্রাণ হিসেবে পাঠানো হয়েছে। ইউনিসেফের মাধ্যমে এসব তাঁবু ও কম্বল বিতরণ করা হবে।
এরআগে, জনবহুল রাফা শহরে স্থল অভিযান চালানো ভুল হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সতর্ক বার্তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, হামাস যোদ্ধারা রাফায় লুকিয়ে আছে।
এদিকে, ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার হাজার ৮০০ জন। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। এ তথ্য মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে হাজার হাজার মানুষের মিছিল
প্রকাশিত :
২১:৩০, ০৮ অক্টোবর ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৫, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের অবসানের আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে মিছিল করেছেন। শনিবার, ৫ অক্টোবর, হাজার হাজার মানুষ রাসেল স্কোয়ার থেকে হোয়াইটহল পর্যন্ত হেঁটে ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমাবেশ গিয়ে যোগদান করে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যাতে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে অনেকেই আসেন ।
"এখনই যুদ্ধবিরতি" এবং "এখন বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন" এর মতো বার্তা সম্বলিত ফিলিস্তিনি পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড বহন করতে লোকজনকে দেখা যায়।
মিছিলকারীদের মধ্যে ‘বেঙ্গলিজ ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে পূর্ব লন্ডনের বাঙালিদের একটি দল ছিল। দলের সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'গত ১২ মাস ধরে, ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নৃশংসতা চালিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যামূলক হামলা চালিয়েছে।‘
বাঙালির মিছিলে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহেদ আলী, বর্ণবাদ বিরোধী এক্টিভিস্ট রফিক উল্লাহ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়নাল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট তৈমুস আলী, লুকমান উদ্দিন, আলা মিয়া আজাদ, জামাল আহমেদ খান, আনসার আহমেদ উল্লাহ, মোহাম্মদ সিদ্দিক, শফিক আহমেদ, মজিবুল হক মনি, সৈয়দ গুলাব আলী প্রমুখরা বলেন যে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করার দাবিতে আমরা মিছিল করছি। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে আমরা মিছিল করছি।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের বেন জামাল বলেছেন, ‘শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর উপলক্ষে মিছিল করেছে, এমন একটি গণহত্যা যা কমপক্ষে ৪১,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, গাজার সামাজিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। কয়েক মাস ধরে, আমরা সতর্ক করে আসছি যে ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য দায়মুক্তি প্রদান করলে তা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঝুঁকির মধ্যেই রাখবে না বরং একটি বিস্তৃত অগ্নিসংযোগের ঝুঁকি তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন যে গত সপ্তাহে, আমরা এই বাস্তবতাকে উন্মোচিত হতে দেখেছি, ইসরায়েল লেবানন এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে হামলা চালিয়েছে যা শত শত বেসামরিক নাগরিক সহ ১,০০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু ছিল। এখন, আমরা একটি বড় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।