img

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি আইজিপির

প্রকাশিত :  ১৩:৫৫, ২৯ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০০, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি আইজিপির

ঈদকে কেন্দ্র করে কেউ বাস, লঞ্চ কিংবা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এমনকি সড়কে চাঁদাবাজি হলে প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের আইজিপি এসব কথা বলেন। 

আইজিপি জানান, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রুখতে সব বাহিনীর সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লম্বা ছুটি থাকায় বাড়তি ভিড়কে মাথায় রেখে পর্যটন এলাকাগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা না করার অনুরোধও জানান আইজিপি।

অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মাঝে জ্ঞান ও ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারো আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় সব পুলিশ ইউনিট থেকে পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। 

আইজিপি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি আজান ও কেরাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন। 

এ ছাড়া বিজয়ীদের মেধার স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিযোগিতার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করায় বিচারকদেরকে ধন্যবাদ জানান। 

আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি­ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিযোগিতায় আজানে প্রথম হয়েছেন ডিএমপির কনস্টেবল সাগর হোসেন সাব্বির, দ্বিতীয় এপিবিএন খুলনার নায়েক আবু মুসা এবং তৃতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক। 

কেরাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এপিবিএন খুলনার নায়েক আবু মুসা, দ্বিতীয় হয়েছেন আরআরএফ খুলনার কনস্টেবল মো. ইসমাইল হোসেন মুন্না এবং তৃতীয় হয়েছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের কনস্টেবল বেলাল আহমদ। 

বৈশ্বিক শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের ভূমিকা শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন এসবির উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবির, দ্বিতীয় পুলিশ সদর দপ্তরের এএসআই (নিরস্ত্র) শামীম আল মামুন এবং তৃতীয় হয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের নায়েক একেএম খালিদ সাইফুল্লাহ।

img

জিনের বাদশা চক্রের ৫ প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত :  ০৪:২৭, ১২ মে ২০২৪

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১১ মে) ভোরে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকা থেকে প্রতারকদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ৬টি সোনালি রঙের মূর্তি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ঠাকুগাঁও জেলার জগন্নাথপুর বানিয়াপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. শফিউল আলম ও তার স্ত্রী মোছা. ফাতেমা খাতুন, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার টেরীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন, পাবনা আমিনপুর থানার সৈয়দপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান ও বন্দের আলী সরদারের ছেলে আকাশ সরদার।

শনিবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়গঞ্জ সার্কেল বিনয় কুমার ও সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সলঙ্গা থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছিল।

এ সময় উত্তরবঙ্গ থেকে আসা একটি বাসে ৫ জন যাত্রীবেশী প্রতারক হাটিকুমরুল গোলচত্বরে নেমে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশে সিএনজিতে ওঠে। সে সময় তাদের কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৬টি সোনালি রঙের মূর্তি ও বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ উদ্ধারসহ তাদের গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, আসামিরা জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গ্রামগঞ্জের সহজ সর‌ল লোকদের গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

অনুমানিক ১০ দিন পূর্বে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পাবনার আমিনপুর থানার ভাটিকয়া গ্রামে মো. রেজাউল হকের বাড়ির পাশে মাটির নিচ থেকে একটি পিতলের পাতিল উদ্ধার করে তাতে স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে উল্লেখ করে রেজাউলের বাবার হাতে দেয়। কিন্তু পূর্ব থেকেই পাতিলে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় উত্তপ্ত পাতিল হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজাউলের বাবার হাত পুড়ে যায়। সেই সময় প্রতারক চক্রের সদস্যারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জানায় যে, গুপ্তধন এখনও কাঁচা রয়েছে, জাদু মন্ত্র দিয়ে পাকা করতে হবে। প্রতারকরা রেজাউল ইসলামকে পাতিলটিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে পুঁতে রাখতে বলে। পাকা করার পর গুপ্তধন ব্যবহার উপযোগী হবে।

এছাড়া প্রতারকরা আরও জানায় যে, তাদের বাড়িতে আরও গুপ্তধন রয়েছে, এগুলো জিনের মাধ্যমে উদ্ধার করতে হবে। গুপ্তধনে ১৮টি স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে যার অনুমানিক মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। আপনারা যদি আমাকে ৫ লাখ টাকা দেন তাহলে আমি উদ্ধার করে দেব। কিন্তু সহজ সরল রেজাউল ইসলাম প্রতারকদের প্রতারণা বুঝতে না পেরে তাদের নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কথিত গুপ্তধনের পাতিলটি নিজেদের কাছে রাখে এবং ১০ দিন পরে ওই কাঁচা গুপ্ত ধন পাকা করাসহ আরও গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে আসতে বলে।

প্রতারক চক্র সেদিন রেজাউলের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আরও বাকি ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য ১১ মে প্রতারণার উদ্দেশে পাবনা আমিনপুর যাওয়ার পথে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।