img

এসির বিল কমানোর ৭ উপায়

প্রকাশিত :  ১০:৫৬, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

এসির বিল কমানোর ৭ উপায়

ঘরে বাইরে প্রচণ্ড গরম। সারা দিনে বাইরে কাজের শেষে শান্তিতে ঘুমাতে ঘরে এসি লাগাতে চান অনেকে। তবে এসি লাগাতে চাইলেও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারণে অনেকে এসি লাগাতে চান না। 

এবার বিলের কথা চিন্তা করে মাথা না ঘামিয়ে, নিশ্চিন্তে আরাম উপভোগ করতে জেনে নিন এসির বিল কম রাখার ৭টি উপায় সম্পর্কে।

এসির সঙ্গে ফ্যানের ব্যবহার

আপনার এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যানও ব্যবহার করুন। এতে করে সারা ঘরে শীতল বাতাস তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়বে। একই সময়ে এসি এবং সিলিং ফ্যান ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি অটো অবস্থায় এসির তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়াতে পারবেন। যা এসির একা শীতল করার কারণে সৃষ্ট অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে দেবে। তবে আপনার ফ্যানটি যেন ঘড়ির কাঁটার দিকে চলে সেটি নিশ্চিত করুন। এতে করে সিলিং ফ্যান ঠান্ডা বাতাসকে নিচের দিকে ঠেলে দেবে। 

প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাট

আপনার এসির জন্য একটি প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাট স্থাপন করুন। এটি আপনার ইলেকট্রিসিটি বিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়ে আনবে।

প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাটগুলো পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি চাইলে এর মাধ্যমে সয়ংক্রিয়ভাবে দিনের বেলা যখন গরম বেশি তখন বাড়ির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে রাখতে পারবেন এবং রাত ১২টার পর থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে ২৫ ডিগ্রি এবং সকাল ৭টায় আবার ২০ ডিগ্রিতে নিয়ে আসতে পারবেন। 

আপনাকে এর জন্য বার বার তাপমাত্রা ম্যানুয়ালি নির্ধারণ করতে হবে না। এমনকি প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাটগুলোর মাধ্যমে আপনার পছন্দমতো সময়ে এসি সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধও করা যাবে।

তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা রাখলে আপনি আরও বেশি খরচ বাঁচাতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন থার্মোস্ট্যাটে তাপমাত্রা যেন বেশিরভাগ সময় ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে। 

তাপ উৎপন্নকারী যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ

আপনার এসির থার্মোস্ট্যাট থেকে ল্যাম্প, কম্পিউটার এবং টেলিভিশনের মতো তাপ উৎপন্নকারী যন্ত্রপাতিগুলো দূরে রাখুন। এগুলোর থেকে উৎপন্ন তাপ থার্মোস্ট্যাটকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং এসিকে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে প্ররোচিত করতে পারে।

এসির সামনের এলাকা পরিষ্কার রাখুন

আপনার এসির ভেন্টের সামনের জায়গাটি যেন বিভিন্ন আসবাবপত্র বা অন্যান্য বাধা দ্বারা অবরুদ্ধ না থাকে সেটি নিশ্চিত করুন। কারণ আপনি অবশ্যই আপনার আসবাবপত্র ঠান্ডা রাখার জন্য অর্থ প্রদান করতে চাইবেন না। বেশি বাধা থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা কম লাগবে এবং আপনি সেজন্য তাপমাত্রা কমাবেন। যার ফলে আপনার বেশি টাকা খরচ হবে। তাই ভেন্ট এবং আপনার অবস্থানের মধ্যে ফাঁকা রাখুন। 

ফাঁকফোকর বন্ধ করুন

রুমে ফাঁকফোকর থাকলে ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে যায় এবং যার কারণে এসিকে আরও বেশি শক্তি খরচ করে কাজ করতে হয়। যা বেশি বিল উঠার পিছনে দায়ী। তাই আপনার অর্থের বিনিময়ে পাওয়া শীতল বাতাস আপনার রুমেই রাখার চেষ্টা করুন। এর জন্য ড্রায়ার ভেন্ট, ঘরে প্রবেশ করা পাইপ, বৈদ্যুতিক আউটলেট, জানালা এবং দরজাগুলো ভালোমত সিল বা বন্ধ করুন। এতে গরম কালের ঠান্ডা বাতাস ছাড়াও শীতকালের উষ্ণ বাতাসও ভেতরেই থাকবে।

ভেন্ট সিলিংয়ের দিকে তাক করুন

আপনার এসির ভেন্টগুলোকে রুমের সিলিংয়ের দিকে তাক করুন। এতে করে ঠান্ডা বাতাস উপর থেকে নিচে আপনার কাছে ভেসে আসবে। শুধু একটি জায়গায় ভেন্টগুলো নিবদ্ধ না রেখে উপর থেকে নিচের দিকে রুমটিকে ঠান্ডা করা উচিত। কারণ এতে করে ঠান্ডা বাতাস নিচের দিকে চলতে থাকে এবং বায়ু সঞ্চালন আরও ভালো হয়।

ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন

ফিল্টারে অতিরিক্ত ময়লা জমে গেলে রুম ঠান্ডা করার জন্য এসিকে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে ইলেকট্রিসিটি বিলে। তাই, মাসে অন্তত একবার ফিল্টারটি বের করে ওয়াশক্লথ দিয়ে পরিষ্কার করুন।

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট 

img

আওয়ামী লীগের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ১৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম এবং এক্স (সাবেক টুইটার)সহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিটিআরসিকে এই সংক্রান্ত চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

এর আগে, গত সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যেকোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল, প্রচারণা ও গণমাধ্যমে উপস্থিতি নিষিদ্ধ থাকবে।

এ নির্দেশনার আলোকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে শিগগিরই অ্যাকাউন্ট ও লিংক ‘ব্লক’ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে।

তবে বিষয়টি সহজ নয় বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, \'সরকার চাইলে ওয়েবসাইট ব্লক করতে পারে, তবে ফেসবুক বা ইউটিউবের কনটেন্ট সরানো বা অ্যাকাউন্ট বন্ধের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরকারের নেই। এসবের জন্য মেটা, গুগল বা সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মগুলোকে অনুরোধ করা হয়। তারা নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই করে পদক্ষেপ নেয়।\'

মেটার সর্বশেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ২ হাজার ৯৪০টি কনটেন্টের অ্যাক্সেস সীমিত করেছে তারা।

অন্যদিকে গুগলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ৪৯০টি অনুরোধে মোট ৫ হাজার ৮২৭টি কনটেন্ট সরানোর কথা বলা হয়। তবে বছরের প্রথমার্ধে গুগল ৬৮.২ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৪৫.৮ শতাংশ অনুরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।