img

জার্মানিতে ২০ হাজার হাতি পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি বতসোয়ানার

প্রকাশিত :  ১৩:১১, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

জার্মানিতে ২০ হাজার হাতি পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি বতসোয়ানার

রাজনৈতিক বিরোধে জার্মানিতে ২০ হাজার হাতি পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন পূর্ব আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট। এই বছরের শুরুতে, জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলেছিলেন, ট্রফি আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে দেশটি। এই ঘোষণার পরেই এমন হুমকি দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।

বিনোদনের নামে বন্যপ্রাণি শিকারের প্রথা ট্রফি হান্টিং নামে পরিচিত। ট্রফি শিকারিরা সাধারণত বন্যপ্রাণির শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন— মাথা, চামড়া, শিং ও দাঁত ইত্যাদি সংগ্রহ করে পরে নিজেদের বীরত্ব ও সফলতার প্রতীক হিসেবে প্রদর্শন করেন। আর এক্ষেত্রে তাদের কাছে শিকারের জন্য আফ্রিকার বিগ ফাইভ নামে পরিচিত সিংহ, মহিষ, হাতি, চিতাবাঘ ও গন্ডার বেশি জনপ্রিয়।

চলতি বছরের শুরুতে হান্টিং ট্রফি আমদানিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কথা চিন্তা-ভাবনা করার কথা জানায় জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তবে বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগওয়েটসি মাসিসি জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে বলেছেন, জার্মানির এ পদক্ষেপ নিলে তা শুধু বতসোয়ানদের ভুগাবে।

তিনি বলেন, সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কারণে বতসোয়ানায় হাতির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। শিকার করা হলে এ সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমাদের আপনারা বন্যপ্রাণীর সঙ্গে বসবাসের কথা বলেন। কিন্তু জার্মানদেরও উচিত এসব প্রাণীর সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করা।

বতসোয়ানায় বিশ্বের মোট হাতির এক-তৃতীয়াংশের বাস। সংখ্যার হিসেবে যা এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি। হাতির পাল প্রায় সময় লোকালয়ে ঢুকে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে, ফসল খেয়ে ফেলে। এমনকি অনেক সময় হাতির পদতলে পড়ে মানুষও মারা যান।

হাতির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর আগে অ্যাঙ্গোলার মতো দেশে ৮ হাজার হাতি উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে বতসোয়ানা। এছাড়া মোজাম্বিককে আরও কয়েকশ হাতি উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে দেশটি।

বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগওয়েটসি মাসিসি বলেন, আমরা জার্মানিকেও এমন উপহার দিতে চাই। আমি রসিকতা করছি না। এক্ষেত্রে আমি না শুনব না।

 

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

আগাম নির্বাচনের পথে কানাডা

প্রকাশিত :  ০৮:৪৭, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ‘নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি' বা এনডিপির সমর্থন হারানোয় দেশটিতে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে আগাম নির্বাচনের ৷ দলটির নেতারা বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন৷

ট্রুডোর মধ্য-বামপন্থি উদার সরকার থেকে বুধবার সমর্থন প্রত্যাহারের পর দলটির নেতা জগমিত সিং এই বিষয়ে মুখ খুলেন৷ প্রধানমন্ত্রীকে তার কার্যালয় ধরে রাখতে হলে নতুন কোনো জোট গড়তে হবে৷ দেশটিতে ২০২৫ সালের অক্টোবরে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ 

জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে দেশটির আনুষ্ঠানিক বিরোধীদল মধ্য-ডানপন্থি রক্ষণশীলরা বিপুল ভোটে জিততে পারেন। কারণ, ট্রুডোর প্রতি ভোটারদের হতাশা বাড়ছে৷ ২০১৫ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন৷ কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং গৃহসংকট তার জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিয়েছে৷  

ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী জেরোমি ব্রডহার্স্টও বৃহস্পতিবার উদারপন্থিদের নির্বাচনি প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন৷ এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি পরিবারের সঙ্গে আরো সময় কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ কিন্তু টরন্টো স্টার উদারপন্থিদের এক সূত্রের বরাতে লিখেছে যে, ব্রডহার্স্ট মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর জয়ের সম্ভাবনা নেই৷   

সিং জানিয়েছেন যে, এনডিপি ২০২২ সাল থেকে ট্রুডোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়া থেকে সরে এসেছে, কেননা, দলটি সামাজিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে প্রত্যাশা নিয়ে তাকে সমর্থন জানিয়েছিল, তার অনেকটাই পূরণ হয়ে গেছে৷

ভবিষ্যতে তিনি ট্রুডোর বিপরীতে রাজনীতিতে লড়বেন কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি জগমিত সিং৷ তবে বলেছেন যে, তার দল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে৷ হাউস অব কমন্সের নির্বাচিত নিম্নকক্ষে এনডিপি চতুর্থ বৃহত্তম দল৷

জগমিত সিংয়ের জন্য আগামী মাসগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি যদি আস্থা ভোটে ট্রুডোকে আবার সমর্থন দেন বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাহলে তা তার দলের দুর্বলতা হিসেবে বিবেচিত হবে৷ আবার তিনি যদি ট্রুডোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তার বিরুদ্ধে ভোট দেন তাহলে আগাম নির্বাচনেও তার দল সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না৷ কারণ দলটির প্রতি বর্তমানে জনসমর্থন বেশ কম৷




আন্তর্জাতিক এর আরও খবর