img

মোজাম্বিকে ফেরিডুবিতে নিহত ছাড়াল ১০০, নিখোঁজ এখনো ২০

প্রকাশিত :  ০৫:২৬, ০৯ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৫, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

মোজাম্বিকে ফেরিডুবিতে নিহত ছাড়াল ১০০, নিখোঁজ এখনো ২০

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে ফেরি ডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। 

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে ফেরি বোট ডুবে ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুসি সোমবার জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় প্রায় ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

আফ্রিকার এই দেশটির মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট ইনস্টিটিউটের (ইন্ট্রাসমার) একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ১৩০ জন যাত্রী বহনকারী এই নৌযানটি আসলে একটি ওভারলোডেড ফিশিং বোট ছিল এবং এতে যাত্রী পরিবহনের লাইসেন্স ছিল না।

আরও পড়ুন :মোজাম্বিকে নৌকা ডুবে প্রাণ গেল ৯০ জনের

ইন্ট্রাসমার-এর প্রশাসক লোরেঙ্কো মাচাদো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, গত রোববার এই ফেরিটি নামপুলা প্রদেশের লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে লোকেদের নিয়ে যাচ্ছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, জোয়ারের ঢেউয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এটি ডুবে গেছে।

নামপুলা প্রদেশের সেক্রেটারি অব স্টেটের অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, যাত্রীরা কলেরা প্রাদুর্ভাবের কারণে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুসি বলেছেন, তিনি এই ট্র্যাজেডিতে দুঃখ পেয়েছেন এবং তদন্তের জন্য আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই দেশটির পরিবহন মন্ত্রীকে দ্বীপে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার অফিস বলেছে, ‘মোজাম্বিক সরকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে আগামীকাল বৈঠক করবে এবং এই ঘটনার প্রভাব কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

রয়টার্সের হাতে আসা বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সৈকতে অনেক লাশ পড়ে আছে এবং কিছু লোক শিশুদের লাশ বহন করছে।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিক এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য দেশ গত বছর থেকে কলেরার প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হয়েছে। মোজাম্বিকের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশটিতে ১৫ হাজার ৫১ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩২ জন মারা গেছেন।

আর গত রোববার পর্যন্ত, দেশটির নামপুলা প্রদেশে ৫ হাজার ৮৪ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ জন মারা গেছেন।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে ৪৩ দেশ

প্রকাশিত :  ০৮:০৬, ১৫ মার্চ ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সারাবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিচ্ছেন। এবার সেই ধারাবাহিকতায়  ৪৩টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ওপর নানা মাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

জানা গেছে, তিনধাপের নিষেধাজ্ঞার নিয়মাবলী তৈরি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। 

শনিবার (১৫ মার্চ) নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে এই পরিকল্পনা নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো  হয়, এবারের নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত বিধিনিষেধের চেয়েও ব্যাপক হতে পারে। 

অবশ্য, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার অধীনে পড়তে যাচ্ছে ৪১টি দেশ। সংবাদ সংস্থাটি তাদের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ এক মেমোর বরাতে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।

এই দেশগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ভাগের দেশগুলোর ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, দ্বিতীয় ভাগের দেশগুলোর ওপর নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ ও তৃতীয় ধাপের দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময় দেওয়া হবে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগ দূর করতে।

রয়টার্সের তথ্য মতে, সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা ও উত্তর কোরিয়া।

তবে, নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ দেশ ছাড়াও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভুটান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভাগে বা আংশিক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা দেশগুলো হলো—ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদান। এই ভাগের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভ্রমণ ও শিক্ষার্থী ভিসার পাশাপাশি অন্যান্য অভিবাসী ভিসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে কিছু ব্যতিক্রমও থাকবে।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই ভাগে আরও থাকছে বেলারুশ, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন ও তুর্কমিনিস্থান।

তৃতীয় ভাগে রয়টার্সের তালিকায় রয়েছে ২৬টি দেশ এবং নিউইয়র্ক টাইমসের তালিকায় রয়েছে ২২টি দেশ। এসব দেশের নাগরিকদের মার্কিন ভিসা আংশিকভাবে স্থগিত করা হতে পারে। তবে দেশগুলো যদি ৬০ দিনের মধ্যে ভিসা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ঘাটতি দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। এটি এখনো মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সম্মতিও প্রয়োজন।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। কয়েকবার সংশোধন করার পর ২০১৮ সালে সেটি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়। দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পরপরই তিনি কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।