img

ভারতে অ্যাপলের কর্মীদের জন্য ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

ভারতে অ্যাপলের কর্মীদের জন্য ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা

ভারতে কর্মীদের জন্য ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছে শিল্প প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপল। গেল দুই-তিন বছরে ভারতে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেছে অ্যাপল। এবার ভারতে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট চীন ও ভিয়েতনামের মতো একটি শিল্প হাউজিং মডেল গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে। এই মডেল অনুযায়ী কারখানায় কর্মরত কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

ইকোনমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপলের নির্মাতা এবং সরবরাহকারী যেমন ফক্সকন, টাটা ও সালকম্পের কর্মীদের জন্য বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বাড়ি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে নির্মিত হবে। প্রকল্পের অধীনে ৭৮ হাজারের বেশি ইউনিট তৈরি করা হবে। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রায় ৫৮ হাজার ইউনিট তামিলনাড়ুতে তৈরি করা হবে। বেশিরভাগ হাউজিং ইউনিট তামিলনাড়ু স্টেট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রমোশন কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত হচ্ছে। এমনকি টাটা গ্রুপ ও এসপিআর ইন্ডিয়াও বাড়ি তৈরি করছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তহবিলের ১০-১৫ শতাংশ প্রদান করবে এবং অবশিষ্ট তহবিল রাজ্য সরকার ও ব্যবসা থেকে আসবে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্মাণ ও বেসরকারি খাতে হস্তান্তর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ হবে।

বিষয়টি নিয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, বড় মাপের কর্মচারী আবাসনের লক্ষ্য হলো দক্ষতা উন্নত করা এবং প্রধানত অভিবাসী নারী কর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান করা। এই কর্মচারীদের বেশির ভাগের বয়স ১৯-২৪ বছরের মধ্যে।

তিনি বলেন,  কর্মচারীদের জন্য, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য এত বড় আবাসন প্রকল্প ভারতে প্রথম।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ শ্রমিক ভাড়া বাড়িতে থাকেন এবং কারখানায় পৌঁছাতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে করে যেতে হয়। অনেক নারী কর্মচারী সংস্থাতে কাজ করেন, যার ফলে দূরত্ব নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাও তৈরি করে।

জানা গেছে, ফক্সকন ভারতে অ্যাপলের বৃহত্তম আইফোন সরবরাহকারী, এই ইউনিটের জন্য তারা প্রায় ৩৫ হাজার বাড়ি ব্যবহার করবে। বর্তমানে ৪১ হাজার কর্মচারী নিয়োগ করেছে ফক্সকন, যাদের ৭৫ শতাংশ নারী। তাদের কার্যালয় তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে। একই সময়ে টাটা ইলেকট্রনিক্স তাদেরর হোসুর কারখানায় কর্মীদের জন্য ১১ হাজার ৫০০ ইউনিট তৈরি করছে। টাটা মূলত ভারতে ব্যবহার ও রপ্তানির জন্য আইফোন তৈরি করে।


img

আওয়ামী লীগের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ১৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম এবং এক্স (সাবেক টুইটার)সহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিটিআরসিকে এই সংক্রান্ত চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

এর আগে, গত সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যেকোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল, প্রচারণা ও গণমাধ্যমে উপস্থিতি নিষিদ্ধ থাকবে।

এ নির্দেশনার আলোকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে শিগগিরই অ্যাকাউন্ট ও লিংক ‘ব্লক’ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে।

তবে বিষয়টি সহজ নয় বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, \'সরকার চাইলে ওয়েবসাইট ব্লক করতে পারে, তবে ফেসবুক বা ইউটিউবের কনটেন্ট সরানো বা অ্যাকাউন্ট বন্ধের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরকারের নেই। এসবের জন্য মেটা, গুগল বা সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মগুলোকে অনুরোধ করা হয়। তারা নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই করে পদক্ষেপ নেয়।\'

মেটার সর্বশেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ২ হাজার ৯৪০টি কনটেন্টের অ্যাক্সেস সীমিত করেছে তারা।

অন্যদিকে গুগলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ৪৯০টি অনুরোধে মোট ৫ হাজার ৮২৭টি কনটেন্ট সরানোর কথা বলা হয়। তবে বছরের প্রথমার্ধে গুগল ৬৮.২ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৪৫.৮ শতাংশ অনুরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।