img

বাচ্চাদের হিট র‍্যাশে করণীয়

প্রকাশিত :  ১২:৪৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

বাচ্চাদের হিট র‍্যাশে করণীয়

আপনার ছোট্ট সোনামণিকে একদিন গোসল করাতে নিয়ে হঠাৎ লক্ষ্য করলেন যে তার পিঠে এবং পেটে লাল লাল র‍্যাশ বা ফুসকুড়ির মত দেখা যাচ্ছে। আপনি উদ্বিগ্ন হবেন এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আপনার এটা জানা থাকা উচিত যে ইতোমধ্যেই প্রকৃতিতে গরম আবহাওয়া বিরাজ করা শুরু হয়ে গেছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুর ত্বকে লাল লাল র‍্যাশ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা এর নাম দিয়েছেন হিট র‍্যাশ।

গরমের কারণে ঘাম হলে র‍্যাশের স্থানে জ্বালা হয়ে থাকে। ফলে শিশুরা আরও বেশি অস্বস্তিতে ভোগে এবং কান্নাকাটি করে। একেবারে ক্ষুদে থেকে স্কুলগামী, যেকোনো বয়সী শিশুরই দেখা দিতে পারে হিট র‍্যাশের সমস্যা। জেনে নিন এই গরমে শিশুর হিট র‍্যাশ হলে করণীয়-

চুলকাতে দেবেন না

হিট র‍্যাশের স্থানে নখের স্পর্শ যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ নখের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই হিট র‍্যাশ হলে শিশু যেন সেখানটাতে না চুলকায় সেদিকে নজর রাখবেন। ঠান্ডা পানিতে নরম ও পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতো করে মুছে দিতে পারেন। এতে শিশু আরাম পাবে।

পাউডার ব্যবহার করবেন না

অনেকে গরমে শিশুর শরীরে পাউডার ব্যবহার করেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাউডার ব্যবহার করলে তা ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে সমস্যা না কমে আরও বাড়তে থাকে। তাই ঘামাচিনাশক পাউডার ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বরং শিশুর কষ্ট আরও বেড়ে যায়।

হালকা পোশাক

বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও হালকা ধরনের পোশাক পরার অভ্যসা করতে হবে। এতে গরমে সুস্থ থাকা সহজ হবে। পোশাকের জন্য বেছে নিতে পারেন সুতির কাপড়। তবে এসির নিচে বেশি সময় থাকলে শিশুর গায়ে একটু মোটা পোশাক রাখুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসের মাধ্যমে ঘাম শুকিয়ে নিলে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখলে ঘাম জমার ভয় থাকে না। ফলে আশঙ্কা কমে হিট র‍্যাশের। ছোট্ট শিশুকে অযথা চাদর বা কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখবেন না। এতে ঘামের কারণে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রতিদিন গোসল

অনেকে শিশুদের প্রতিদিন গোসল করান না। এমনটা করা যাবে না। এই গরমে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান। শিশু যদি স্কুলে যায় তবে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গোসল করাতে নিয়ে যাবেন না। প্রথমে ঘাম মুছে দিন। এরপর তাকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলুন। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তারপর গোসল করান। গোসলের সময় শিশুর ত্বকের উপযোগী সাবান ব্যবহার করুন।

প্রয়োজন ছাড়া রোদে নয়

এখন রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। তাই প্রয়োজন ছাড়া শিশুকে রোদে বের হতে দেবেন না। বিশেষ করে সকাল দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। নয়তো হিট র‍্যাশের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া কোনো মলম বা ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

img

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪৬, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়:

পরিকল্পনা তৈরি করুন: পড়ালেখা শুরু করার আগে একটি সময়সূচী তৈরি করুন। সময়ের প্রতি সচেতনতা থাকলে মনোযোগ বজায় রাখা সহজ হয়।

অব্যাহত বিরতি এড়ান: দীর্ঘ সময় একটানা পড়লে মনোযোগ হারানোর সম্ভাবনা থাকে। ছোট ছোট বিরতি নেয়া যেতে পারে।

নিরিবিলি পরিবেশে পড়ুন: পড়ালেখার জন্য শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ নির্বাচন করুন। যেখানে কম আওয়াজ এবং বিঘ্ন ঘটবে না।

প্রেরণা বজায় রাখুন: পড়ালেখা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। লক্ষ্য স্থির রেখে পড়ালেখা করুন।

নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন: নিজেকে প্রতিদিনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য চ্যালেঞ্জ দিন।


পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া:
“রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতান ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতান ওয়া কিনা আজাবান নার।”
(সুরা বাকারা ২:২০১)

অর্থ: আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দাও এবং জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করো।
এই দোয়াটি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে এবং জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে।

পড়ালেখা নিয়ে ইসলামিক উক্তি:
“ইন্নামাল ইল্মু নূরুন, ওয়ালা ইয়ানি আল্লাহু ফি কুলুবিল মুমিনীন।”
অর্থ: নিশ্চয়ই বিজ্ঞান আলোর মতো, আর আল্লাহ তা মুমিনদের হৃদয়ে প্রবাহিত করেন।