প্রকাশিত :
০৫:১০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৩, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলে ইরানের অপ্রত্যাশিত ও অভাবনীয় হামলায় হতচকিত সমগ্র পশ্চিমা বিশ্ব। তেহরানের এ হামলার বিপরীতে তেলআবিবের প্রতি তাদের আহ্বান, এ মুহূর্তে হুট করে ইরানে হামলা করা ঠিক হবে না।
একই সুর তুললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। ফোন করে নেতানিয়াহুকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার আহ্বান জানালেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফোনালাপে নেতানিয়াহুকে মাথা ঠান্ডা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সুনাক। কারণ এ অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে কারো স্বার্থ হাসিল হবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়বে। তাই শান্ত হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসরাইল গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা করে । এতে আইআরজিসির বেশ কয়েকজন নেতার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে ইসরাইলি ভূখণ্ডে গত শনিবার প্রায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এ ঘটনায় ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরাইল। তবে কবে নাগাদ হামলা হতে পারে তা এখনো জানা যায়নি
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পাকিস্তানি হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় জিওটিভি নিউজ।
লন্ডন থেকে মুর্তজা আলী শাহ জানান, লন্ডনে পাকিস্তানি হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। ভারতীয়দের হামলায় দূতাবাসের জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ ছাড়া ভবনের সাদা দেয়াল এবং হাইকমিশন ভবনের ফলকে গেরুয়া রঙ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এর একদিন আগে দূতাবাসের বাইরে শত শত ভারতীয় বিক্ষোভ করে। সে সময় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল স্থানীয় পুলিশ।
এদিকে লন্ডনে পাকিস্তানি হাইকমিশনের বাইরে পাকিস্তানের সমর্থনে পাল্টা সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশ থেকে ভারতের দোষারোপের কূটনীতির প্রতি নিন্দা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত এ হামলার পেছনে আন্তঃসীমান্ত সংযোগের অভিযোগ করেছে। এ ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অন্তত ৭টি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। এতে দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দূতাবাসে হামলার ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিল।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আত্মরক্ষায় সক্ষম। পূর্ণ প্রস্তুতিতে আছে দেশটির সেনারা। সেনাপ্রধান অসিম মুনির এমন দৃঢ় ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির (পিএমএ) পাসিং আউট প্যারেডে দেওয়া ভাষণে অসিম মুনির সেনা প্রস্তুতি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আত্মরক্ষার জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। দেশের স্থিতিস্থাপকতা এবং শক্তি তার ইতিহাস ও ত্যাগের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত।
তিনি বলেন, দ্বি-জাতি তত্ত্ব মুসলিম এবং হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্যকে নির্দেশ করে। যা পাকিস্তানের পরিচয় এবং অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেছে।
জেনারেল মুনির উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের পূর্বপুরুষরা একটি পৃথক মুসলিম পরিচয়ের বিশ্বাসের দ্বারা দেশ গঠনের জন্য অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেন, পাকিস্তানের জনগণ তাদের মাতৃভূমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। দেশকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিতে অটল সেনারা। পাকিস্তান যে কোনো বহিরাগত হুমকির মুখোমুখি হতে সক্ষম।