img

হিট স্ট্রোক কেন হয়, জানুন লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে

প্রকাশিত :  ০৬:১৫, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:১৯, ২০ এপ্রিল ২০২৪

হিট স্ট্রোক কেন হয়,  জানুন লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে

গরমের সময় হিট স্ট্রোক খুবই কমন একটি রোগের নাম । তাপদাহের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা  এবং বাতাসের আদ্রতার অনুপস্থিতিতে কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ সময় তীব্র রোদে অবস্থান করলে অথবা শারীরিক পরিশ্রম করলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অতিরিক্ত গরমে বেশিক্ষণ পরিশ্রম করলেও এই সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হঠাৎ করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে ফলে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

হিট স্ট্রোক কী?

হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোক এক ধরনের অসুস্থতা, যা অধিক গরমের কারণে হয়ে থাকে। তাপদাহের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা (৩৫-৪০ডিগ্রী সেলসিয়াস) এবং বাতাসের আদ্রতার অনুপস্থিতিতে কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ সময় তীব্র রোদে অবস্থান করলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাপজনিত তারতম্যের কারণে কোনো ব্যক্তির শরীরের স্বাভাবিক তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা এর বেশি হলে হিট স্ট্রোক হয়।


লক্ষণ

প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া

মাংসপেশীতে ব্যথা

অতিরিক্ত দুর্বলতা ও ঠোট, মুখ, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া।

রক্তচাপ কমে যায় ও নাড়ীর স্পন্দন ক্ষীণ হতে থাকে

খিঁচুনি, মাথা ঘোরানো, চোখে ঝাপসা দেখা

মাথাব্যথা অনুভূত

বমি বমি ভাব

রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে

অতিরিক্ত ঘামও


প্রাথমিক চিকিৎসা

হিট স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণগুলো দেখা দিলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে অপেক্ষাকৃত শীতল কোনো স্থানে নিয়ে যেতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। প্রচুর পানি বা খাওয়ার স্যালাইন পান করতে হবে। যথাসম্ভব শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

প্রতিকার

হিট স্ট্রোকে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গরমের এই সময়টায় তাই সাবধানে থাকতে হবে।

১. যারা বাইরে রোদে কাজ করে তাদের হিট স্ট্রোক এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমানে লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে। এ সময় স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত, মাঠা বা ডাবের পানি খুবই উপকারী

২. গরমের দিনগুলোতে অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল বা সুগার ড্রিঙ্কস-গুলো শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে।

৩. ফল ও সবজি খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই ভালো

৪. হালকা রঙের ঢিলেঢালা ও সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বাইরে বের হলে ছাতা ও মাথায় টুপি ব্যবহার করুন।

৫. চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকুন, এতে শরীরের তাপ বৃদ্ধি পায়। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

img

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪৬, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়:

পরিকল্পনা তৈরি করুন: পড়ালেখা শুরু করার আগে একটি সময়সূচী তৈরি করুন। সময়ের প্রতি সচেতনতা থাকলে মনোযোগ বজায় রাখা সহজ হয়।

অব্যাহত বিরতি এড়ান: দীর্ঘ সময় একটানা পড়লে মনোযোগ হারানোর সম্ভাবনা থাকে। ছোট ছোট বিরতি নেয়া যেতে পারে।

নিরিবিলি পরিবেশে পড়ুন: পড়ালেখার জন্য শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ নির্বাচন করুন। যেখানে কম আওয়াজ এবং বিঘ্ন ঘটবে না।

প্রেরণা বজায় রাখুন: পড়ালেখা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। লক্ষ্য স্থির রেখে পড়ালেখা করুন।

নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন: নিজেকে প্রতিদিনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য চ্যালেঞ্জ দিন।


পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া:
“রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতান ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতান ওয়া কিনা আজাবান নার।”
(সুরা বাকারা ২:২০১)

অর্থ: আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দাও এবং জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করো।
এই দোয়াটি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে এবং জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে।

পড়ালেখা নিয়ে ইসলামিক উক্তি:
“ইন্নামাল ইল্মু নূরুন, ওয়ালা ইয়ানি আল্লাহু ফি কুলুবিল মুমিনীন।”
অর্থ: নিশ্চয়ই বিজ্ঞান আলোর মতো, আর আল্লাহ তা মুমিনদের হৃদয়ে প্রবাহিত করেন।