img

দেশে ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন, কারণ জানাল বিএসসিপিএলসি

প্রকাশিত :  ১১:০২, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৪, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দেশে ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন, কারণ জানাল বিএসসিপিএলসি

দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেব্ল ‘ব্রেক’ করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বিএসসিপিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন কেব্ল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেব্ল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। শনিবার বিকালের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, তারা গ্রাহকদের ফোন পাচ্ছেন। গ্রাহকেরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।

দেশে এখন সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যান্ডউইডথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করে। আর ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেব্লের (আইটিসি) মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

img

পে-পাল সুবিধা পেলে বাড়তো বৈদেশিক মুদ্রা

প্রকাশিত :  ১২:৪১, ১৬ মে ২০২৪

বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ও বিশ্বস্ত আর্থিক লেনদেনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম পে-পালকে ২৬ বছরেও বাংলাদেশে আনতে পারেনি আইসিটি বিভাগ। দু’শোরও বেশি দেশে পে-পাল কার্যক্রম পরিচালনা করলেও কিসের বাঁধায় বাংলাদেশে আসছে না, এটাই প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের। বলছেন, প্রায় ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সারসহ লাখ-লাখ বাংলাদেশি বিদেশে কাজ করছেন। এসব নাগরিক পে-পাল সুবিধা পেলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বেশি আসতো। 

এদিকে, পে-পাল না আসার কারণ জানা নেই খোদ আইসিটি বিভাগের সচিবের। 

১৯৯৮ সালে অনলাইন লেনদেনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাত্রা শুরু করে মার্কিন প্রতিষ্ঠান পে-পাল। প্রতিষ্ঠার পরপরই লেনদেন কিংবা বিল পরিশোধে মাস্টারকার্ডের পরিবর্তে পে-পাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অল্প সময়েই মানি ট্র্যান্সফার সার্ভিসের ভোগান্তি দূর করে কোটি গ্রাহকের আস্থাও অর্জন করে পে-পাল। 

যেকোনও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নির্বিঘ্নে হিসাব খুলে বিশ্বব্যাপী লেনদেন করতে পারছে। এই চিত্র পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত মিলিয়ে ২১০টি দেশে। ফলে সহজলভ্যতায় বিশ্বে শীর্ষে থাকায় উদ্যোক্তা কিংবা কাজ সরবরাহকারিরাও খোঁজেন পে-পাল ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশে পে-পাল এখনও আসেনি, কার্যক্রমও  নেই।  

তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তপন কান্তি সরকার বলেন, “পে-পাল আনলেই তো হবে না, যাদেরকে টাকাটা পেমেন্ট করতে হবে সেটা তো নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা কঠিন। “

ফ্রিল্যান্সার কিংবা আউটসোর্সিংয়ে নিয়োজিত বিশাল একটি জনগোষ্ঠী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে লেনদেন অনৈতিক উপায়ে সংঘটিত হয় বলে রাজস্বও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাদের পরিকল্পনা আছে আমাদের দেশে আসার। কিন্তু কবে আসবে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে যাদের কাঁধে ভর করছে সরকার- তাদের ভোগান্তি দূর করতে কেনো এগিয়ে আসছে না মন্ত্রণালয়! যেখানে ব্যবহারকারিদের একাউন্টের নিরাপত্তাসহ পারচেজ প্রটেকশন ও ট্রানজেকশনের সুরক্ষা প্রদান করছে, তবুও কেন তোড়জোড় নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের! 

শামসুল আরেফিন বলেন, “পে-পাল আসলে তাদের সুবিধাটা আমরা ব্যবহার করতে পারবো। তবে এখন আমরা জুম সার্ভিস ব্যবহার করছি। যেটা পে-পালের সাবসিডিয়ারি সার্ভিস হিসেবে জুম চালু আছে।”

পে-পালের মতো ডিজিটাল মানি ট্র্যান্সফারের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো দেশীয় বাজারব্যবস্থায় যুক্ত হলে তা হবে দেশের জন্য আর্শীবাদ; উজ্জীবিত হবেন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারীরা বলছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।