img

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৭:৪৫, ২১ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৫৭, ২১ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রামের হালিশহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম গোলন্দাজ বাহিনী মুজিব ব্যাটারির স্মরণে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর হালিশহরের আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুলে এই কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন শেষে কমপ্লেক্সটি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

মুজিব ব্যাটারি, বাংলাদেশের প্রথম আর্টিলারী ইউনিট বা ভারী অস্ত্র সংবলিত ইউনিট। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা গোলন্দাজ বাহিনীর ৮০ জন বাঙালি সদস্যকে নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হয়।

নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স’ এ স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান। সেসময় তিনি জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি বাস্তব প্রতিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারির প্রথম গোলাবর্ষণকারী কামান, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদএবং গোলন্দাজ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অপারেশনের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হন।

এরপর সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দরবার নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

img

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অভিমত চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রকাশিত :  ০৫:৩১, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫৩, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বদলীয় সংলাপের পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে অভিমত নেওয়া হচ্ছে।

আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছেন, আপনাদের সুচিন্তিত অভিমত চিঠি মারফত পাঠাতে পারেন- ‘মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়’ এই ঠিকানায়। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত আপনাদের অভিমত জানাতে পারবেন। অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, গণতন্ত্র মঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে। কাজটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য কমিটিও গঠন করা হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত একটি কর্মকৌশল ঠিক করা হবে।

বৈঠকের আলোচনা নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। সবাই বলেছেন, এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন (পরামর্শ) এসেছে। মোটাদাগে হলো ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক বা আইনি প্রকৃতি কী হবে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

তিনি বলেন, এটার জন্য যতটা সময় লাগা প্রয়োজন, ততটা সময় নেওয়া যেতে পারে। তবে অযথা কালবিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ যেন না হয়। সবাই একমত পোষণ করেছে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত।

সবাই এই প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার আশাবাদ জানিয়েছেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সবাই একত্রে যেভাবে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি, তেমনি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারব।

ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনোরকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধু কী পদ্ধতিতে এটা করা হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। সব মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। কোথাও আমরা অনৈক্যর সুর দেখি না, বরং সবাই বলেছেন এই ঘোষণাপত্রে যেন সবার মালিকানা থাকে।


জাতীয় এর আরও খবর